ব্যর্থ হয়েছে টপ অর্ডার, ধুঁকেছে মিডল, লড়তে পারেনি নিউজিল্যান্ডের লোয়ার অর্ডারও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কিউই দল যা রান জমা করেছে তার অর্ধেকের বেশি এনেছেন গ্লেন ফিলিপস। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে দলকেও এনে দিয়েছেন ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি।
সিডনিতে গ্রুপ ১-এর ম্যাচটিতে শুরুতে বোলিংয়ে দাপট দেখিয়েছেন লঙ্কান বোলাররা। কাসুন রাজিথা-ভানিডু হাসারাঙ্গারা ছিলেন অনবদ্য। ফিলিপস শতক হাঁকালে এবং শেষদিকের দ্রুত রান তোলায় কিউই ইনিংস ৭ উইকেট হারিয়ে থেমেছে দেড়শ ছাড়িয়ে।
শনিবার টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে থিকসেনা-হাসারাঙ্গার স্পিন ঘুর্ণিতে পড়ে কিউই টপ অর্ডার। দলীয় দশ রানের মাঝে ফিরেছেন দুই ওপেনার ফিন অ্যালন ও ডেভন কনওয়ে। তিনে নামা অধিনায়ক উইলিয়ামসও হয়েছেন ব্যর্থ। আসরে বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনী করা কিউই নেতা এদিন ১৩ বলে করেছেন মাত্র ৮ রান।
চতুর্থ উইকেটে কিছুটা থিতু হয়েছে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ডেরিল মিচেলকে নিয়ে ফিলিপস আনেন ৮৪ রান। ২৪ বলে ২২ রান করা মিচেলকে ডি সিলভা ফেরালে আবারও চাপে পড়ে কিউই দল। জেমস নিশাম দ্রুত রান তোলার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। লঙ্কানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দেড়শ ছাড়াবে এমন চিন্তাও কঠিন ছিল। সেখানে কাজের কাজটা করেছেন ফিলিপস।

ডানহাতি হার্ডহিটার তুলে নিয়েছেন আসরের এবং নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক। এরআগে, বাংলাদেশের বিপক্ষে চলতি আসরের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন রাইলি রুশো। সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিলিপস থেমেছে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে। দল বাঁচানো সেঞ্চুরি সাজিয়েছেন ১০ চার ও চার ছক্কায়, ৬৪ বলে করেছেন ১০৪। এটি টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান, ১০৮ রানের আরেকটি ইনিংস আছে ডানহাতি হার্ডহিটারের।
শেষদিকে ফিলিপসের যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। ৫ বলে এক ছক্কায় ১১ রান তুলেছেন এবং শেষ বলে সাউদি ৪ মেরে আনেন চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
লঙ্কানদের ভালো শুরু এনে দেওয়া বোলাররা শেষের দিকে খেই হারিয়ে ফেলেছেন। কাসুন রাজিথা ৪ ওভারে ২৩ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। লঙ্কানদের ইনিংসে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন লাহিরু কুমারা, ৩ ওভারে ৩৭ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন একটি উইকেট। মাহেশ থিকসেনা ৩৫ রান খরচ করেছেন। ২২ রান দিয়ে হাসারাঙ্গা ফিরিয়েছেন ড্যারিল মিচেলকে।