হোবার্ট, অস্ট্রেলিয়া থেকে: লং অফে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুম খুঁজে পাচ্ছিলেন না তাসকিন আহমেদ। আউট হয়ে চলে যাচ্ছিলেন ভুল জায়গায়। বেলেরিভ ওভালে প্রথম খেলতে নামা বাংলাদেশ দলের জন্য সহজ ছিল না কন্ডিশন। অচেনা ভেন্যুতে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় শীতও জেঁকে বসেছিল খুব। প্রতিকূল কন্ডিশনে বাংলাদেশকে জয়ের নিশানা পরে বল হাতে দেখিয়েছেন তাসকিনই।
৪ ওভারে ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় তিনিই। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৯ রানের জয় বাংলাদেশকে দেখাচ্ছে আশার আলো। হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়ার উপলক্ষ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
যদিও ১৪৪ রানের পুঁজি যথেষ্ট ছিল না জয়ের জন্য। কাজটা সহজ হয়েছে নতুন বলে তাসকিন জ্বলে ওঠায়। পুরনো বলে হাসান মাহমুদ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি উইকেট নিয়ে ভূমিকা রেখেছেন। উইকেট না পেলেও মোস্তাফিজুর রহমানের কিপটে বোলিং সহায়ক ছিল জয় পেতে।
সাম্প্রতিক সময়ে টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কেবল হতাশই করছিল সমর্থকদের। ডাচদের সঙ্গে দেড়শ করতে পারায় উঁকি দিচ্ছিল শঙ্কার মেঘও।
বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে পাওয়া জয় বাংলাদেশের আশাও নিশ্চয় বড় করছে। টাইগারদের পরের ম্যাচ ২৭ অক্টোবর, সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিডনিতে। তাসমানিয়া ছেড়ে সেখানে যাওয়ার আগে তাসকিন জানালেন উন্নতির পথেই কেবল চোখ থাকবে তাদের।
‘শুরুতে একটু বাউন্স করছিল, হয়তবা মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হচ্ছিল (ব্যাটারদের)। স্কিড করে বল ব্যাটের স্টিকারের দিকে হিট করছিল। সহজ ছিল না। ছোট পার্টনারশিপ কাজে দিয়েছে।’
‘আসলে আমাদের জন্য কোনো কন্ডিশনই সহজ না। আমরা আসলে প্রত্যেকটা কন্ডিশনে মানিয়ে নিচ্ছি এবং উন্নতি করতে চাচ্ছি। আমরা যদি বিশ্বকাপের বাকি সব ম্যাচও জিতি, তাহলে বলবো আমরা উন্নতির পথে রয়েছি।’
‘সহজ ছিল না। ছোটখাটো জুটি কাজে দিয়েছে। আমাদের ১০-১৫ রান শর্ট ছিল। আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। ম্যাচটা জিতেছি। সামনের ম্যাচগুলোতে যেন আরও কম ভুল হয় সেটিই চাইব।’ যোগ করেন তাসকিন।