চল্লিশ গড় আর ১৩৯. ৯৩ স্ট্রাইক রেটে এগোচ্ছেন লোকেশ রাহুল, সবশেষ ৫ ম্যাচে আছে দুটি ফিফটি। তবুও ডানহাতি ব্যাটারকে একহাত নিচ্ছেন ভারতের সমর্থকরা। কেউ বলছেন ‘বোঝা’ ‘অপ্রয়োজনীয়’, কারও মতে ‘ক্রিকেটেরই ধোঁকা’। ভারত দলে তাকে দেখে সমর্থকদের কারও আঙুল ‘টিম ম্যানেজমেন্টের’ ভূমিকা নিয়েও।
রাহুলের উপর ভারতীয় সমর্থকদের চটে যাওয়া শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ সূচনা থেকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় ম্যাচে ব্যর্থ ছিলেন। নেদারল্যান্ডসের মতো কমশক্তির দলের বিপক্ষেও ধুঁকছেন। সেখানেই দর্শকদের আপত্তি, ‘কী করছেন— না খেলতে পারলে দলের বোঝা বাড়াচ্ছেন কেন!’ এমন হাজারও সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছেন তারকা ওপেনার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ বলে ৪ রান এবং ডাচদের বিপক্ষে ১২ বলে ৯— কোনোভাবেই রাহুল সুলভ স্কোর না। সেটি মেনেই যত আলোচনা। জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে তাকে দেখে অবাক অনেকে। টানা দুই ম্যাচে দশের নিচে আটকে পড়া রাহুলের বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ, তিনি আইপিএলের খেলোয়াড়। জাতীয় দলে খেললেও বড় দল বা বড় মঞ্চের তারকা মোটেও নন। তাইতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে কাটাছেঁড়া।
টুইটারে ভারতের এক সমর্থক সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘দলে কেন রাহুল? তাকে কেন বিশ্রাম দেয়া হচ্ছে না বা ঘরোয়া ক্রিকেটে পাঠানো হচ্ছে না।’ অন্য এক ব্যবহারকারী একটু বেশিই চটেছেন, ‘ড্রেসিংরুমের নতুন হাতি রাহুল। ভারতের এখনই কিছু ভাবা উচিত, নাহলে চাপা কান্না দ্রুতই ফেটে পড়বে।’
সিডনিতে ডাচদের বিপক্ষে পল ফন মিকেরেনের বলটি পায়ে লাগলে রিভিউ নিতেও অস্বীকার করেন রাহুল। রোহিত অপরপাশ থেকে রিভিউ নেয়ার পরামর্শ দিলেও শোনেননি। সে কারণে চটেছেন আরেক সমর্থক। রাহুলকে সরাসরি ‘ধোঁকাবাজ’ বলছেন কেউ কেউ। তার জায়গায় দীপক হুদাকেও দেখতে চাচ্ছেন।