সোজা সমীকরণ—শেষ চারে উঠতে শ্রীলঙ্কাকে স্রেফ হারালেই চলবে ইংলিশদের। সিডনিতে বাটলারের দলকে ১৪২ রান পেরনোর চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছে পাথুম নিশাঙ্কা-ভানিডু হাসারাঙ্গাদের দল। লক্ষ্য পেরোতে পারলে গ্রুপ ‘১’ থেকে নিউজিল্যান্ডের পর ইংল্যান্ডও নিশ্চিত করবে শেষ চার।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে লঙ্কানদের জয় চাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই অস্ট্রেলিয়ার। স্বাগতিক দলটি শীর্ষ সাত পয়েন্ট তুলেও আছে বাদ পড়ার শঙ্কায়। শেষ চারের অঙ্ক মেলানোর ম্যাচে ইংলিশরা হারলেই আসবে সেরা চারে খেলার সুযোগ। শ্রীলঙ্কা দারুণ শুরু এনেছিল, তবে শেষটা ভালো না হওয়ায় ৮ উইকেট হারিয়ে দল থেমেছে ১৪১ রানে।
সেমির টিকিট কাটতে জয়ের বিকল্প নেই জশ বাটলারের দলের। এমন ম্যাচে টস ভাগ্য সহায় হয়নি তার। উপরন্তু লঙ্কান দুই ওপেনার ব্যাটিংয়ে আনেন দুর্দান্ত শুরু। ইংলিশ বোলাররে তুলোধুনো করে প্রথম চার ওভারে নিশাঙ্কা-মেন্ডিস জুটি তুলে ফেলেন ৩৯ রান। মেন্ডিস ১৪ বলে ১৮ করে ফিরলে ভাঙে জুটি। লঙ্কান ইনিংসের ভাঙনের শুরু তখন থেকেই।
তিনে নামা ডি সিলভা ব্যর্থ হয়েছেন। চারিথ আসালাঙ্কা ৯ বলে আনতে পারেন মোটে ৮ রান। অফফর্মে থাকা অধিনায়ক শানাকা, ভানিডু হাসারাঙ্গা সহ নিচের দিকের বাকি সবাই থেমেছেন অঙ্ক ডিজিটে।
মিডলে ভানুকার ২২ বলে ২২ রান ছাড়া ধুঁকেছিল বাকি সবাই। অনুজ্জ্বল লঙ্কানদের দিনে বড় রানের আশা দেখিয়েছিলেন ফিফটি ছাড়ানো নিশাঙ্কা। দলীয় ১১৮ রানে ৪৫ বলে দুই চার ও পাঁচ ছক্কায় ৬৭ করে ফিরলে থমকে যায় রানের চাকা। লঙ্কান দল শেষ ৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে মোটে ২৫ রান। শেষ ওভারে উডের হাতে ধরা পড়েছে তিন লঙ্কান ব্যাটার।
বাজে শুরু করা দিন শেষ পর্যন্ত নিজেদের করতে বড় ভূমিকা রেখেছেন আদিল রশিদ। ৪ ওভারে ১৬ রান খরচায় নিয়েছেন একটি উইকেট। ৩ ওভারে ২৬ রান দেওয়া উডের শিকার ৩ উইকেট। একটি করে লঙ্কান ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন স্টোকস, ওকস ও স্যাম কারান।