হোবার্টে সাউথ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ বারবার বৃষ্টির কারণে দেরিতে শুরু হওয়ায় ৯ ওভারে নেমে এসেছিল। ৮০ রানের লক্ষ্যে নামা সাউথ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের মাঝে আবারও বৃষ্টি নামে। পরে জয়ের পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে ৬৪ রান।
খেলা আবার মাঠে গড়ালেও বৃষ্টি প্রবল আকার ধারণ করার ও ভেজা আউটফিল্ড থাকার পরও দুই আম্পায়ার ম্যাচ চালিয়ে যান। সাউথ আফ্রিকা ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ৫১ রান তুলে জয়ের কাছে চলে যায়। পরে আর খেলা চালিয়ে নেয়া সম্ভব হয়নি, দুই দল ভাগাভাগি করে পয়েন্ট। ম্যাচে আম্পায়ারদের এমন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ জিম্বাবুয়ে কোচ ডেভ হটন।
ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর হটন বলেছেন, ‘আমি জনসাধারণের জন্য এবং টিভির দর্শকদের জন্য খেলাগুলো শুরুর চেষ্টার প্রয়োজন বুঝতে পারি। সামান্য প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে ম্যাচে ফলাফল পেতে সহায়তার জন্য খেলা চালাতে চেষ্টা করতে পারি। খেলার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করি। কিন্তু এই খেলায় সেই সীমা অতিক্রম করা হয়েছে। পরিস্থিতি খেলার জন্য সঠিক ছিল এটা আমি বিশ্বাস করি না।’
প্রোটিয়াদের রানতাড়া করার সময় বৃষ্টির গতি বারবার প্রবল হওয়ায় জিম্বাবুয়ের বোলার-ফিল্ডাররা ভেজা আউটফিল্ড নিয়ে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেছিলেন। এমনকি পেসার রিচার্ড এনগারাভা যখন পিছলে পড়েন এবং আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন, তখনও আম্পায়াররা খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন।
ঘটনায় রাগান্বিত হটন বলেছেন, ‘সে চেঞ্জিংরুমে তার গোড়ালিতে বরফ বেঁধে শুয়ে আছে। অবশ্যই আমরা এটা নিয়ে খুব বেশি সন্তুষ্ট নই। সে এই মুহূর্তে বোলিং করার জন্য খুব ভালো অবস্থায় নেই। আগামীদিনে ব্যাপারটা আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে।’
‘এতো ভারি বৃষ্টির ভেতর খেলা হওয়াটা হাস্যকর ছিল। কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থা ছিল। মাঠে নামার সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ছিল না। আমাদের ফিল্ডিং করার সময় মাঠ ভেজা ছিল। দুই দলের জন্যই কঠিন পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু আমরা বোলিং করার সময় যতো গড়িয়েছে, মাঠ আরও বেশি ভিজেছে।’
‘আম্পায়াররা মনে করেছিলেন মাঠ খেলার উপযুক্ত ছিল। আমি তাদের সাথে একমত নই। কিন্তু মাঠের বাইরে আমি তেমন কিছু করতে পারিনি।’