ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে নেয়ার সময় ধারাভাষ্যকারের সামনে উত্তেজনায় কাঁপছিলেন তাসকিন আহমেদ। মুখে স্পষ্ট ক্লান্তির ছাপ, ফেলছিলেন দীর্ঘশ্বাসও। মাইক হাতে পেলে জানালেন প্রতিক্রিয়া, শেষ বলটি নো হওয়ার পর আসলে কী চলছিল দলের মাঝে।
ব্রিসবেনে জিম্বাবুয়েকে ৩ রানে হারিয়ে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে প্রথমবার দুই জয়ের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। জয় অবশ্য সহজ হয়নি। সাকিব আল হাসানের দল কঠিন পথ পাড়ি দিয়েই হাসতে পেরেছে।
শেষ বলে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ৫ রান। মুজারাবানি এগিয়ে এসে মারতে যান। সোহান বল ধরে স্টাম্প ভেঙে দিলে সবাই জয় উদযাপন শুরু করে। নাটক তখনও ছিল বাকি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় সোহান স্টাম্প ভাঙার আগে বল গ্লাভসে নিতে পারেননি। আইন অনুযায়ী টিভি আম্পায়ার নো ডাকেন। ফ্রি-হিটেও ব্যাটে বল লাগাতে পারেননি মুজারাবানি। মহানাটকীয় জয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের দল।
সোহানের ভুলে নো বল হওয়ার পর দলের অবস্থা কেমন ছিল, সেটিই জানিয়েছেন ৪ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নেয়া তাসকিন।
‘আমরা সবাই নার্ভাস ছিলাম। এটা খুব ভালো ম্যাচ ছিল। আমাদের জন্য খুব সহজ ছিল না। প্রথমবার শেষ বলে নো বল হওয়ার মতো এমনকিছু দেখলাম।’
নিজের সাফল্য নিয়েও বলেছেন তাসকিন। বোলিংয়ে মৌলিক প্রক্রিয়াগুলোতে মনযোগী হওয়ায় সাফল্য পাচ্ছেন। ব্রিসবেনের কন্ডিশন ফাস্ট বোলারদের জন্য সহায়ক ছিল, সেটিও বলতে কার্পণ্য করেননি।
‘দেশে আমরা ধীর উইকেটে খেলি এবং এখানে বলে দ্রুত মুভমেন্ট পাই। ফাস্ট বোলিংয়ের একটি ভালো গ্রুপ পেয়েছি। আমরা একে অপরকে সহায়তা করি এবং নিজেদের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করি।’
‘আমাদের বোলিং কোচ (অ্যালান ডোনাল্ড) এবং অন্যসব সাপোর্ট স্টাফদের কাছ থেকে দারুণ সমর্থন পাই। আশা করি আরও উন্নতি করবো।’