মাসব্যাপী মারকাটারি ক্রিকেটের মহাযজ্ঞের শেষ এসেছে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের হাসিতে। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরে ব্যাট-বলের লড়াই জমে উঠেছিল। ছিল চার-ছক্কার ফুলঝুরি। তাতে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ এসেছে ভারতের বিরাট কোহলির থেকে।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৩ বলের ৮২ রানের হার না মানা ইনিংসটি খেলে কোহলি জানান দিয়েছিলেন ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট। সেই নান্দনিক ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ছিল পরেও। সেমিতে ইংল্যান্ডের কাছে হারায় শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে আসা হয়নি। এরপরও আসরের সর্বাধিক রান কোহলির। ৬ ম্যাচে ৯৮.৬৬ গড়ে ৪ ফিফটিতে ১৩৬.৪০ স্ট্রাইক রেটে তুলেছেন ২৯৬ রান।
আইসিসির সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস এবারের বিশ্বকাপে দেখায় চমক। প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে আসা দলটি সুপার টুয়েলভে সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে আসর থেকে বিদায় করে দেয়। দলটির ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড ২৪২ রান করে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রাহক। তিনি ৩৪.৫৭ গড়ে দুই ফিফটিতে ১১২.৫৫ স্ট্রাইক রেটে রান তুলেছেন।
রান সংগ্রহের তিনে আরেক ভারতীয় সূর্যকুমার যাদবের নাম। নতুন ৩৬০ খ্যাত তারকা ৬ ম্যাচে ৫৯.৭৫ গড়ে ৩ ফিফটিতে ১৮৯.৬৮ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৩৯ রান।

জস বাটলার অধিনায়ক হিসেবে তো বটেই, ব্যাট হাতেও বিশ্বকাপে দারুণ সফল হয়েছেন। ৬ ম্যাচে ৪৫ গড়ে ১৪৪.২৩ স্ট্রাইকরেটে ৩ ফিফটিতে সদ্য চ্যাম্পিয়ন দলনেতা করেছেন ২২৫ রান। রান সংগ্রাহকের চারে আছেন তিনি।
সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে এবার প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকে সুপার টুয়েলভে খেলতে হয়েছে। ব্যাট হাতে কার্যকরী ভূমিকা রেখে কুশল মেন্ডিস হয়েছেন টুর্নামেন্টের পঞ্চম সর্বাধিক রান সংগ্রাহক। ৮ ম্যাচে ৩১.৮৫ গড়ে ২ ফিফটিতে ১৪২.৯৪ স্ট্রাইক রেটে ২২৩ রান করেছেন লঙ্কান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
সেরা দশের ছয়ে আছেন ৮ ম্যাচে ২৭.৩৭ গড়ে এক ফিফটিতে ১৪৭.৯৭ স্ট্রাইক রেটে ২১৯ রান করা জিম্বাবুয়ের ব্যাটার সিকান্দার রাজা। সাতে ৭ ম্যাচে ৩০.৫৭ গড়ে ২ ফিফটিতে ১০৯.১৮ স্ট্রাইকরেটে ২১৪ রান করা লঙ্কান ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কা।
গলফ খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ায় বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান জনি বেয়ারস্টো। তার বদলে স্কোয়াডে এসে অ্যালেক্স হেলস ৫ ম্যাচে ৫২.৭৫ গড়ে ২ ফিফটিতে ১৪৮.৫৯ স্ট্রাইক রেটে ২১১ রান করে আছেন সেরা আটে।
নয়ে আয়ারল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লোরকান টাকার। ৭ ম্যাচে ৪০.৮০ গড়ে এক ফিফটিতে ১২৫.১৫ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২০৪ রান। কিউই ব্যাটার গ্লেন ফিলিপস আছেন দশে। ৫ ম্যাচে ৪০.২০ গড়ে এক ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে ১৫৮.২৬ স্ট্রাইকরেটে তার ব্যাটে এসেছে ২০১ রান।
