প্রতিযোগিতাটির দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বছরখানেক আগে র্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটে থাকতে না পারায় খেলতে হল প্রথম রাউন্ডে। যে বাধা তারা উতরে যেতে ব্যর্থ, তাতে আসর থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে নিকোলাস পুরানের দলের। ক্যারিবীয়দের ৯ উইকেটে হারিয়ে সুপার টুয়েলভের টিকিট কেটেছে আয়ারল্যান্ড।
৩ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ বি-র শীর্ষে আপাতত আয়ারল্যান্ড। তাদের রানরেট +০.১০৫। ২ ম্যাচে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে স্কটল্যান্ড (+০.৭৫৯)। রানরেটে তাদের চেয়ে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে। এক জয়ে ২ পয়েন্টের উইন্ডিজ ধরছে বাড়ির বিমান।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নামবে স্কটল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। জয়ী দলটি সুপার টুয়েলভে উঠে যাবে। পরাজিত দল আসর থেকে বাদ পড়বে। হোবার্টের আকাশ বেশিরভাগ জুড়ে মেঘে ঢাকা, রয়েছে বৃষ্টির শঙ্কা। দিনের দ্বিতীয় খেলা পরিত্যক্ত হলে পয়েন্ট হবে ভাগাভাগি। রানরেটে এগিয়ে থাকায় ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পরের পর্বে যাবে স্কটল্যান্ড। ৪ পয়েন্ট পাওয়া আয়ারল্যান্ড গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে।
শুক্রবার হোবার্টে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ক্যারিবীয়রা ৫ উইকেটে ১৪৬ রান তোলে। জবাবে আয়ারল্যান্ড ১৫ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
২৭ রানের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২ উইকেট তুলে চাপে ফেলে আয়ারল্যান্ড। কাইল মেয়ার্স এক রানের বেশি করতে পারেননি। আরেক ওপেনার জনসন চার্লস আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ২৪ রান করে কার্টিস ক্যাম্ফেরের হাতে ধরা পড়েন।
তৃতীয় উইকেটে এভিন লুইসকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন ব্রেন্ডন কিং। ১৩ রান করা লুইস ডেলানির বলে মার্ক অ্যাডাইরের তালুবন্দি হন। অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ১১ রান করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ৯৯ রান।
শুরু থেকেই ধীরগতিতে ব্যাট করা উইন্ডিজ শেষদিকে খানিক গতি পায় কিং এবং ওডেন স্মিথের কল্যাণে। শেষ ৩ ওভারে ৩৪ রান নিতে পারায় স্কোর দেড়শর কাছাকাছি পৌঁছায়। কিং ৪৮ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। স্মিথ ১২ বলে এক চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে।
আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন গ্যারেথ ডেল্যানি। ৪ ওভারে ১৬ রানে ম্যাচসেরা লেগ ব্রেক বোলার নেন ৩ উইকেট। সিমি সিং ও ব্যারি ম্যাকার্থি নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে পাওয়ার প্লে থেকেই প্রতিপক্ষের উপর আক্রমণ হানতে থাকেন আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার। ৬ ওভারে বোর্ডে ৬৪ রান জমা করেন পল স্টার্লিং এবং অধিনায়ক অ্যান্ডি ব্যালবির্নে।
৭৩ রানের মাথায় ভাঙে আইরিশদের ওপেনিং জুটি। আকিল হোসেনের বলে পয়েন্টে কাইল মেয়ার্সের ক্যাচ হওয়ার আগে ২৩ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রান করেন ব্যালবির্নে।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লোরকান টাকারকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন স্টার্লিং। ১১ ওভারের আগেই ১০০ রানে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড। ৩২ বলে স্টার্লিং ফিফটি তুলে নেন।
ব্যক্তিগত ১৭ রানে জীবন পান টাকার। স্মিথের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরার সময় আম্পায়ার নো বল দিলে টাকার ক্রিজে থেকে যান।
পরে আর কোনো ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠাতে পারেনি উইন্ডিজ বোলাররা। ওবেদ ম্যাককয়ের বলে টাকার চার মারার সঙ্গে জয়ের আনন্দে ভাসে আয়ারল্যান্ড।
স্টার্লিং ৪৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। টাকার অপরাজিত থেকে ৩৫ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৫ রান।