বোর্ডে ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি জমিয়ে জয়ের আশা বুনতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের পেস তোপে ইনিংসের প্রথম দুই বলে উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডসের ৬ ওভারে ৪ উইকেট গেছে ৩২ রানে।
কলিন অ্যাকেরম্যান ২২ বলে ৩ চারে ২১ ও অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ৪ বলে ৩ রানে ক্রিজে আছেন।
তাসকিনের প্রথম ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাচ্ছিল। ডাচ ওপেনার বিক্রমজিৎ সিংয়ের ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে ইয়াসিরের হাতে চলে যায়। বল মাটিতে লেগেছিল কিনা, সেজন্য টিভি আম্পায়ারের সাহায্যের দরকার পড়ে। টিভি আম্পায়ার আউট দিলে শূন্য রানে উইকেট হারায় কমলা জার্সিধারীরা।
পরের বলটিও অফ স্টাম্পের বাইরে করেন তাসকিন। বাস ডে লেডের ব্যাটে লেগে বল সোহানের গ্লাভসবন্দি হয়। টানা দুই বলে ২ উইকেট নিয়ে তাসকিন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন।
চতুর্থ ওভারে বল হাতে নেন সাকিব আল হাসান। প্রথম বলে ছক্কা হজম করলেও দ্বিতীয় বলে ৮ রান করা ম্যাক্স ও’ডাউড হন রান আউট। বলটিতে দারুণ ফিল্ডিংয়ে বাউন্ডারিতে ঠেকান আফিফ। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে দুই ব্যাটারের মাঝে হয় ভুল বোঝাবুঝি। ক্রিজের মাঝ পর্যন্ত দৌড়ে ও’ডাউড আবার ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হননি, সাকিব বল ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন।
দুই বল পর টম কুপার অযথাই দৌড়ে রানের খাতা না খুলেই হন রান আউট। নাজমুল হোসেন শান্তর ছোড়া বল ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন সোহান।
এর আগে ভালো শুরুর পর মিডলঅর্ডারের ধসে পথ হারানো বাংলাদেশকে দেড়শর কাছে নিয়েছেন আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।
টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের বছরসেরা ওপেনিং জুটি গড়ে সকালটায় ভালো এনে দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের ৪৩ রানের জুটি ভাঙার পর হঠাৎ ব্যাটিংয়ে নামে ধস। টপাটপ হারিয়ে বসে ৫ উইকেট, ৩৩ রানের মধ্যে।
বিপর্যয়ের পর সোহানকে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়েন আফিফ। তিনি ২৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন ১২ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ২০ রানের অপরাজিত ক্যামিও ইনিংস দেন।