টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের বছরসেরা ওপেনিং জুটি গড়ে সৌম্য-শান্ত দিচ্ছিলেন নতুন সূর্যোদয়ের আভাস। তাদের ৪৩ রানের জুটি ভাঙার পর হঠাৎ অমানিশা। ব্যাটিংয়ে ধস। এলোমেলো হয়ে পড়া লাল-সবুজের দল টপাটপ হারিয়ে বসে ৫ উইকেট, ৩৩ রানের মধ্যে।
হোবার্টে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৬ রান। আফিফ হোসেন ১৩ বলে এক ছক্কায় ১৫ ও নুরুল হাসান সোহান ৬ বলে ৫ রানে ক্রিজে আছেন।
তিনে নামা লিটন দাসের উপর বাড়তি প্রত্যাশা ছিল। তিনি এদফা ব্যর্থ। ১১ বলে ৯ রান করে লোগান ফন বিকের বলে চিপ শটে মিডঅফে কুপারের হাতে সহজ ক্যাচ হয়েছেন।
সাকিব আল হাসানও হয়েছেন ব্যর্থ। অধিনায়ক ৯ বলে ৭ রান করে শারিজ আহমাদের বলে স্লগ সুইপ খেলে সীমানার কাছে ডে লেডের দারুণ ক্যাচে মাঠ ছাড়েন।
বিনা উইকেটে ৪৩ থেকে চোখের পলকের বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ৬৩ রান।
আফিফ হোসেন ক্রিজে এসে শারিজের বলে সুইপ শটে মারেন ছক্কা। এরপর বৃষ্টির কারণে খেলা ৭ মিনিটের জন্য বন্ধ ছিল।
বৃষ্টির পরেও চলছে উইকেট পতনের ধারাবাহিকতা। ৫ বলে মাত্র ৩ রান করে পল ফন মিকেরেনের বলে বোল্ড হয়েছেন ইয়াসির আলী।
সোমবার টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে টাইগাররা। ফন মিকেরেনের করা ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে উড়িয়ে মারতে যেয়ে ১৪ বলে ২ চারে ১৪ রান করে ফেরেন সৌম্য। মিড উইকেটে ডে লেডের হাতে ধরা পড়েন।
পরের ওভারে আউট হন ২০ বলে ৪ চারে ২৫ রান করা শান্ত। টিম প্রিঙ্গলের বলে ফন বিকের তালুবন্দি হন।
সৌম্য-শান্তর বছরসেরা জুটির আগে ওপেনিংয়ে এবছর সর্বোচ্চ ৩৭ রানের জুটি এনেছিল টাইগাররা, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। হারারেতে জুটিতে ছিলেন লিটন দাস ও মুনিম শাহরিয়ার।