চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর জানাজা ও দাফন কোথায়?

KSRM

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সংসদ উপনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম নামাজে জানাজা বেলা ১১ টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে।

বাদ জোহর ফরিদপুরের নগরকান্দায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

Bkash

সাজেদা চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ রায়হান এ তথ্য জানিয়েছেন।

রোববার দিবাগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মারা যান। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Reneta June

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৩৫ সালে। ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। ১৯৬৯-’৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ভারতে গিয়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২-’৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-’৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার ছিলেন সাজেদা চৌধুরী।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সংকটময় মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাজেদা চৌধুরী বন ও পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর নবম জাতীয় সংসদে সাজেদা চৌধুরীকে প্রথমবার উপনেতা করা হয়। এরপর দশম সংসদেও তিনি উপনেতার দায়িত্ব পান।

বিজ্ঞাপন

সাজেদা চৌধুরী ১৯৭৪ সালে গ্রামীণ উন্নয়ন ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো ফেলোশিপপ্রাপ্ত হন এবং একই সময়ে তিনি বাংলাদেশ গার্ল-গাইড অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় কমিশনার হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মানসূচক সনদ সিলভার এলিফ্যান্ট পদক লাভ করেন। তিনি ২০০০ সালে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক ওমেন অব দি ইয়ার নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।

বিজ্ঞাপন

Nil Joler Kabbo
Bellow Post-Green View