‘আমার জীবনে তেমন কোনো অতৃপ্তি নেই। একুশে পদক, আজীবন সম্মাননা সব পেয়েছি; বর্তমানে আমি সেন্সর বোর্ডের সদস্য। দুটো নাতী আছে। এসব ভাবলে জীবনে তেমন অতৃপ্তি থাকে না। তবুও যেহেতু আমি রক্ত মাংসের মানুষ, তাই আমার চাওয়া জীবনের এই পড়ন্ত বিকেলে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। মানুষের পাশে থেকে দেশের সেবা করতে হলে রাজনীতিতে তো যুক্ত হতে হবে। আমার বিশ্বাস কাজটি ভালোভাবে করতে পারবো।’
নিজের জন্মদিনে চ্যানেল আই অনলাইনের কাছে এমন সুপ্ত বাসনার কথা জানালেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘রূপবান’ খ্যাত অভিনেত্রী সুজাতা।
তিনি বলেন, অবশ্যই আওয়ামী লীগ দলে থেকে কাজ করতে চাই। কারণ আপার (শেখ হাসিনা) মতো একজন নেত্রী পাওয়া এটা দেশের জন্য সৌভাগ্যের। তার সঙ্গে কাজ করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবো। আমার বড় নাতী ফারদিনের কথামতো চলি। সেও চায় আমি নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশ সেবা করি।
দীর্ঘদিন অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও এই অঙ্গনে সক্রিয় সুজাতা। তিনি বলেন, অভিনয় না করলেও সিনেমার সঙ্গে থাকি। সেন্সর বোর্ড, বিটিভির প্রিভিউ কমিটিতে আছি। সবসময় মনে হয় এখন পারিবারিক স্টেন্টিমেন্টের ছবি কম হচ্ছে। এগুলো বেশী করা উচিত। এখন এফডিসি যে ভাঙা হচ্ছে এটা দেখে সত্যি আমার খুব কান্না পায়। যে জায়গাটি ভাঙা হচ্ছে সেখানে রাজ্জাক, শর্মিলী, আনিস, খলিল, এটিএম শামসুজ্জামান, আজিম সাহেবসহ কত মানুষের কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে! তবুও এফডিসিতে যাই। কারণ এফডিসি মায়ের মত, মাকে কীভাবে ছাড়বো?
জীবনের এই সময়টি পরিবারকে দিচ্ছেন সুজাতা। তিনি বলেন, অবসরে গল্প লিখি, টিভি দেখি। সেন্সরে ছবি দেখি। এভাবে আমার সময় কেটে যায়। তবে আমার আরেকটা চাওয়া আছে। সেটা হচ্ছে আজিম সাহেবকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা। কারণ তিনি মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, নির্যাতিত হয়েছিলেন, সেই সময় ২৪ হাজার টাকায় গাড়ি বিক্রি করে পুরো টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে তিনি আজও মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হননি। মুক্তিযুদ্ধকালীন ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় আলতাফ মাহমুদকে যেখানে রাখা হয়েছিল পাশের রুমে তিনি ২ মাস বন্দি ছিলেন।