চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য ও শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিক উল্লাহ (৭০) হত্যায় সন্দেহভাজন ১০ম শ্রেণির ছাত্র অমিত দাস (১৬) ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি (তদন্তকারী) সুজন কান্তি বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত অমিত দাস শহরের পুরানবাজার দাস পাড়ার গনেশ দাসের বাড়িতে বসবাসকারী গৌতম দাসের পুত্র। সে চাঁদপুর শহরের গনি মডেল আদর্শ বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছিল।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য ও শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিক উল্লাহ শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের নতুন বাজার সফিনা আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলায় ছুরিকাঘাতে হত্যার শিকার হন। রফিক উল্লাহ ওই এলাকার বাসিন্দা মো. হেদায়েত উল্যাহর ছেলে। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
ঠিক কী কারণে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন, এ বিষয়ে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। রফিক উল্লাহ হত্যার বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় নিহতের ভাতিজা তন্ময় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
এবিষয়ে ওসি (তদন্তকারী) সুজন কান্তি বড়ুয়া বলেন, কিশোর অমিতের সাথে রফিক উল্লাহর অনেকদিন যাবত সখ্যতা ছিল। সে প্রায় সময় মুক্তিযোদ্ধা রফিক উল্লাহর বাসায় আসা যাওয়া করতো। ঘটনা একদিন পূর্বেও সে তার বাসায় এসেছে এবং ঘটনার দিনও সে এ বাসায় এসেছে বলে ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়। ঘটনার কিছুক্ষণ পর সে এ বাসা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেতেও ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে। আত্মহত্যাকারী কিশোরের জুতা,প্যান্ট, কালো গেঞ্জি দেখে তার পিতা-মাতা তাকে শনাক্ত করেছেন।
নিহত রফিক উল্লাহ মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া কললিস্ট অনুযায়ী মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডে অমিত জড়িত বলে দাবি করেছেন ওসি।
আত্মহত্যা করা কিশোরের পরিচয় প্রথমে না পাওয়ায় চাঁদপুর রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।