আফ্রিকার দেশ সুদানে সামরিক বাহিনীর সাথে আধা-সামরিক বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। বেসামরিক শাসনের উত্তেজনার মধ্যে রাজধানী খার্তুমে সুদানে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াইয়ে কমপক্ষে তিনজন মারা গেছে। সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, দেশটির আধা-সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) বলছে যে, তারা বিমানবন্দরসহ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আরএসএফ অন্তত তিনটি বিমানবন্দর, সেনাপ্রধানের বাসভবন এবং রাষ্ট্রপতি ভবনের নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে। তবে দেশটির সেনাবাহিনী দাবি অস্বীকার করেছে।
সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তারা এখনো দেশের সব ঘাঁটি ও বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে। একইসাথে খার্তুম শহরের কৌশলগত জায়গাগুলো দখল করার জন্য শত্রুপক্ষের চেষ্টার মোকাবিলা করছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, গোলাগুলি এখনও চলছে এবং লোকেরা বাড়ির ভিতরেই অবস্থান করছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন গডফ্রে বলেছেন, তিনি বন্দুকযুদ্ধের শব্দে ঘুম থেকে জেগে উঠেছিলেন। তিনি বর্তমানে দূতাবাস দলের সাথে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি সিনিয়র সামরিক নেতাদের যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানান। রাশিয়ার দূতাবাসও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
আরএসএফ কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো বলেছেন, সমস্ত সেনা ঘাঁটি দখল না করা পর্যন্ত তিনি লড়াই করবেন। তিনি বলেন, সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান একজন অপরাধী এবং তাকে হত্যা করা হবে নয়তো বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাবিল আবদুল্লাহর জানিয়েছে, র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের সদস্যরা খার্তুম এবং সুদানের আশেপাশে বিভিন্ন সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে। সংঘর্ষ চলছে এবং সেনাবাহিনী দেশ রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে।
জেনারেল বুরহান ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুদানের বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশটিতে অস্থিরতা চলছে।
পশ্চিমা দেশ এবং আঞ্চলিক নেতারা উভয় পক্ষকে উত্তেজনা কমাতে এবং বেসামরিক শাসন পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আলোচনায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।