বন্ধুর পোষা কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভারতের একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। কুকুরটি সাঁতরে নিরাপদে ডাঙ্গায় চলে গেলেও পানিতে ডুবে মারা যান ওই ছাত্র।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, সরল নিগম নামক ওই ছাত্র ভারতের ভোপাল এনআইটি-এর সদ্য বি-টেক (ইঞ্জিনিয়ারিং) গ্রাজুয়েট। ২৩ বছর বয়সী সরল বাবা-মার একমাত্র সন্তান ছিলেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের পর ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
সরল তার ২ জন (নারী) বন্ধুর সঙ্গে ভারতের কেরওয়া বাঁধ এলাকার জঙ্গল ক্যাম্পে সকালে হাঁটতে গিয়েছিলেন। একজন বন্ধু তার পোষা কুকুরটিকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। তারা বাঁধের নীচের দিকে জলাশয়ের পাশে হাঁটছিলেন, এসময় হঠাৎ কুকুরটি জলাশয়ের পানিতে পড়ে যায়।
এসময়য় তারা কুকুরটিকে বাঁচানোর জন্য একে অপরের হাত ধরে পানিতে নেমে কুকুরের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। কিন্তু স্রোতে পা ফসকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা জলাশয়ে পড়ে যায়। এরপর সাঁতার কেটে বাকি ২ বন্ধু তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হলেও, স্রোতের টানে গভীর পানিতে ভেসে যায় সরল।
তার বাকি ২ বন্ধু সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে করতে রাস্তায় ছুটে আসে। পরে সেখানকার জঙ্গল ক্যাম্পের প্রহরী দৌড়ে গিয়ে সরলকে আর দেখতে পায়নি। এরপর তারা পুলিশকে খবর দেয়। ডুবুরি এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তাদের চেষ্টায় প্রায় ১ ঘণ্টা পর সরলের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ১০ থেকে ১৫ ফুট গভীর পানিতে ডুবে মারা গিয়েছেন সরল। এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার বাবা-মা। সরলের বাবা সুধীর নিগম ভারতের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।