ফেনীতে বিশেষ কায়দায় পেটে করে বহন করার সময় ৪ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিনজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা।
গতকাল ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াইঅংপ্রম্ন মারমা পুলিশ মিডিয়া সেলের মাধ্যমে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। আটক তিনজন হলেন টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাগর (১৯), সঞ্চিতা বেগম (২৫) এবং খালেদা বেগম (২৭)।
বুধবার ৮ নভেম্বর রাতে ১১টার দিকে ফেনী মডেল থানাধীন দক্ষিণ চাড়ীপুর ১৩নং ওয়ার্ডস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী পল্লী বিদ্যুৎ সাব-ষ্টেশন এর সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ তাদের সন্দেহ না করার জন্য দুই নারীর সঙ্গে দুটি শিশু সন্তানও ছিল। তারা মিরেরসরাই এনা পরিবহনের কাউন্টারের সামনে থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রাইভেটকারে ওঠেন।
ফেনী মডেল থানার এসআই মোঃ মোতাহের হোসেন জানান, নিয়মিত টহল অভিযান পরিচালনাকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকারকে সন্দেহ হলে সেটি থামিয়ে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তারা তাদের সঙ্গে ইয়াবা থাকার কথা অস্বীকার করেন।
পরে পুলিশ তাদেরকে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এক্স-রে করায়। এক্স-রে রিপোর্ট সামনে এলে তারা পুলিশের কাছে ইয়াবার কথা স্বীকার করে। তারা জানায়, তারা সিন্থেটিককে মোড়ানো ইয়াবাগুলো কলার মাধ্যমে সেবন করেছিলেন। পরে গন্থব্যে পৌঁছে পায়ুপথ দিয়ে সেগুলো বের করে পরিষ্কার করে যথাস্থানে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিনজনকে আটকের পর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এক্স-রেতে তাদের পেটে ইয়াবার উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। ইয়াবাসহ আটক ৩ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।