রবীন্দ্রনাথের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী ছিলো সোমবার (৮ মে)। এদিন প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত আরেক সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। ‘কালবেলা’র এই স্রষ্টার প্রয়াণে শোকের মাতম শুধু সাহিত্য অঙ্গণে নয়, ছড়িয়ে গেছে বাঙালির সব শ্রেণি পেশার মানুষের মনে! সাধারণের পাশাপাশি প্রখ্যাত এই সাহিত্যিক মৃত্যুতে দুই বাংলার তারকারাও শোকার্ত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক জানিয়েছেন প্রসেনজিৎ থেকে শুরু করে জয়া আহসান, সৃজিত মুখার্জী, চঞ্চল চৌধুরীর মতো তারকারাও।
রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণে জয়া আহসান লিখেছেন,“এক প্রিয়র জন্মদিনের আলোতে আর এক প্রিয়র মৃত্যুর বেদনা বুকে বেজে চলেছে নিরন্তর। পৃথিবীর এই কালবেলায় সমরেশ মজুমদার এই পার্থিব পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। ২৫ এর সকালে সারা আকাশজুড়ে তারই যেন অনুরণন। সৃষ্টিতে, সাহিত্যে এই দুই প্রিয়ই নিরন্তর যাতায়াত করে চলুন আজীবন, এই তো প্রাপ্তি, এখানে মৃত্যুর মহিমা শূন্য হয়ে আসে।”
চঞ্চল চৌধুরী শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি পোস্টে লেখেন, ‘মৃত্যু কি সহজ, কি নিঃশব্দে আসে অথচ মানুষ চিরকালই জীবন নিয়ে গর্ব করে যায়।’
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় লেখেন,‘সাহিত্য জগতে নক্ষত্র পতন। ছেলেরবেলার স্মৃতির ছন্দপতন ঘটল। আপনার কথাই আজ আপনার জন্য ধার নিলাম। ছাইটা হল স্মৃতি, আগুনটা হল বর্তমান। আপনি থাকবেন আপনার সকল কালজয়ী সৃষ্টিতে এবং আমাদের সকলের স্মৃতিতে।’
কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘সমরেশ কাকু আমার বালিকা বেলার প্রেম তোমার কালবেলা।’
শ্রীলেখার মতো ‘কালবেলা’র ভীষণ ভক্ত নির্মাতা সৃজিত মুখার্জী। অন্তত সমরেশের প্রয়াণে কালবেলার চরিত্রদের নিয়ে তার পোস্ট দেখলে যে কেউ বুঝবেন। তিনি লেখেন,‘প্রেম বলতে এখনও অনিমেষ মাধবীলতা বুঝি। বিপ্লব বলতেও। ভালো থাকবেন।’
প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ পত্নী অভিনেত্রী, শিল্পী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন সমরেশ মজুমদারের সাথে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেন, ‘সমরেশ দা’! অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লেখেন, ‘আমরা কাউকে অকারণেই মনে রেখে দেই চিরকাল! যাকে মনে রাখার কোনো কারণই নেই-‘সমরেশ মজুমদার’।
অভিনেত্রী মৌটুসী বিশ্বাস সমরেশ মজুমদারের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার পোস্ট করে লিখেছেন, “দুই কি চারদিন হবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করে বিভিন্ন জনের সাক্ষাৎকার দেখছিলাম হইচই এ আর ভাবছিলাম আজীবন এই মানুষগুলো থাকলে কত ভালো হতো। আজ সমরেশ মজুমদার চলে গেলেন। আমাদের কী দারুণ কিশোরবেলা আর বড় বেলা দিয়েছেন। জন্ম এবং কর্ম গুরুত্বপূর্ণ করে গিয়েছেন যারা তাদের ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছি। শ্রদ্ধা এবং অনেক ভালোবাসা রইল।”