বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের গল্প তুলে এনে ওটিটিতে দুর্দান্ত সব গল্পের কাজ হচ্ছে। এসব গল্পকে সিনেমার পর্দায় তুলে আনতে বললেন স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল।
তিনি বলেন, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে বাক্সবন্দী করে দিচ্ছে ওটিটি। এসব গল্পগুলো সিনেমার মাধ্যমে তুলে ধরা উচিত।
তিনি বলেন, আমাদের নির্মাতারা ওটিটিতে একটু বেশি ঝুঁকছেন। দেশে ওটিটির অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে। কিন্তু দর্শকরা কতগুলো প্ল্যাটফর্মে যাবেন?
“সিনেমা ডেমোক্রেটিক সিস্টেম। যার যেভাবে ইচ্ছে সবাই দেখতে পারে এবং সঠিক আর্টফর্ম উপলব্ধি করতে পারে। এজন্য আমি মনে করি সিনেম্যাটিক বা আগে থিয়েটার নিশ্চিত করে পরে ওটিটতে মুক্তি দেয়া উচিত। নির্মাতা প্রযোজকদের আহ্বান জানাই, তারা যেন এই অনুশীলনটা চালু করেন।”
সিনেপ্লেক্সের ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান রুহেল আরও বলেন, যেভাবে ভালো ভালো ছবি হচ্ছে এই অবস্থায় সিনেপ্লেক্স সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ২০টি স্ক্রিন চালু করতে করবে। আগামী বছরের শুরুতে চালু হবে ঢাকার উত্তরা, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, কুমিল্লা, কক্সবাজারে একাধিক স্ক্রিনের সিনেপ্লেক্স। আমাদের টার্গেট ১০০ স্ক্রিন চালু করা। সেই লক্ষ্যে আগাচ্ছি।
দেশের সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান বলেন, গতবছর হলিউডের ছবির চেয়েও দেশের প্রিয়তমা ও সুড়ঙ্গ ছবিগুলো ভালো চলছে। এভাবে যদি বছরে কমপক্ষে ১০টি ভালো কনটেন্ট দেয়া যায় তাহলে আরও বেশি স্ক্রিন বাড়ানোর উৎসাহ পাবো।
বর্তমানে ঢাকার বসুন্ধরা সিটি, ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার, সামরিক জাদুঘর (বিজয় স্মরণী), মিরপুর, এসকেএস টাউয়ার, রাজশাহী হাইটেক পার্ক, চট্টগ্রামের বালি আর্কিডে সবমিলিয়ে ১৯ স্ক্রিনে স্টার সিনেপ্লেক্সে চালু আছে।
সিনেমা প্রদর্শনের পাশাপাশি ২০১৯ সালে ‘ন ডরাই’ নামে একটি ছবি প্রযোজনা করেছে স্টার সিনেপ্লেক্স। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জানান, একাধিক সিনেমা স্ক্রিপ্টিং চলছে। ২০২৪ সালে ধারাবাহিকভাবে সিনেমা প্রযোজনা করবো।
মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, আমি পারফেকশনিস্ট মানুষ। এজন্য পারফেকশনিস্ট সিনেমা বানানো। সেভাবে লাইন আপ করা হচ্ছে।