নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম টি-টুয়েন্টির শেষ সময়টা ভরপুর নাটকীয়তায় কাটল শ্রীলঙ্কার। জয়ের জন্য শেষ বলে ৭ রান দরকার ছিল স্বাগতিকদের, ৬ মারলে টাই। এমন সমীকরণে এগিয়ে ছিল লঙ্কানরাই। কেননা ক্রিজে ছিলেন স্পিনার ইশ সোধি। অবশ্য কিউইদের স্পিন তারকা ব্যাটেও করে দেখিয়েছেন কাজের কাজটা। দাসুন শানাকার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে স্কোর করেছেন সমান। পরে সুপার ওভারে সিরিজের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা।
অকল্যান্ডে টসে হেরে ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৯৬ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে নেমে চাপে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রানই করে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ টাই হলে গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে ২ উইকেটে ৮ রান তোলে স্বাগতিকরা, জবাবে কোন উইকেট না হারিয়ে চার বল হাতে রেখেই জয় তোলে লঙ্কানবাহিনী।
রোববার প্রথমে ব্যাটে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি লঙ্কানদের। শূন্য রানে হারাতে হয় প্রথম উইকেট। পরে কুশল পেরেরা ৪৫ বলে ৫৩ রান ও চারিথ আসালাঙ্কার ৪১ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে দুইশর কাছে যায় সফরকারীরা। কিউইদের হয়ে দুটি উইকেট নেন জেমস নিশাম।
জবাবে ব্যাটে নেমে শুরুতে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ডও। মাত্র ৩ রানে হারায় ২ ব্যাটারকে। টম ল্যাথামের ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংসে কিছুটা স্বস্তিতে ফেরে স্বাগতিক দল। ড্যারিল মিচেলের ৪৪ বলে ৬৬ রান ও মার্ক চ্যাম্পম্যানের ৩৩ রানের পর রাচীন রবীন্দ্রের ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় কিউইরা। শেষ বলে ইশ সোধির ছক্কায় নির্ধারিত ওভার শেষে রান হয় সমনে সমান।
সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে কিউইরা। মাহেশ থিকসানার দুর্দান্ত বোলিং এগিয়ে রাখে শ্রীলঙ্কাকে। নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটারকে ফেরান তিনি, ৮ রান খরচায়। জবাবে নামেন চারিথ আসালাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। মেন্ডিস প্রথম বলে এক রান নিয়ে আসালাঙ্কাকে ক্রিজে পাঠান। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান আসালাঙ্কা। তৃতীয় বলটি নো-বল করে বসেন এডাম মিলনে। সে বলে চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন লঙ্কান ব্যাটার।