ভারত বিশ্বকাপে হতশ্রী পারফরম্যান্সের কারণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্ত করেছিল শ্রীলঙ্কা সরকার। বোর্ডের ওপর অভিযোগ তোলা হয়েছিল দুর্নীতির। এরপর বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডকে নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার প্রচেষ্টায় এবার বোর্ডকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসেছে লঙ্কান সরকার।
মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে ফার্নান্ডো লিখেছেন, ‘আমাদের ওপর আইসিসির দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার লক্ষ্যে আমি আজ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি নিয়োগের সিদ্ধান্ত তুলে নিতে একটি গেজেটে স্বাক্ষর করেছি।’
পাশাপাশি, গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের ওপর করা একটি অডিট প্রতিবেদনে আইসিসির ‘পর্যালোচনা’ জানতে চেয়েছেন তিনি।
এরআগে বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রামানসিংহে পুরো ক্রিকেট বোর্ডকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়। দেশটির আদালত সেই আদেশ বাতিল করে পুরোনো কর্তাদের বহাল করে।
Today, I signed a gazette to revoke the decision appointing an interim committee for Sri Lanka Cricket, aiming to lift our ICC suspension. I’ve also written to the ICC, seeking their observations on the Auditor General’s report on SLC, and to the AG dept for future actions.
— Harin Fernando (@fernandoharin) December 12, 2023
আদালতের ওই আদেশের দুইদিন পর দেশটির সংসদে সরকারি দল ও বিরোধী দলের সর্বসম্মতিক্রমে বোর্ড সদস্যদের বরখাস্ত করার প্রস্তাব পাস করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ‘দুর্নীতিগ্রস্থ এসএলসি (শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড) ম্যানেজমেন্ট প্রত্যাহার’ নামে একটি বিল সংসদে উত্থাপন করেন দেশটির প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা। উত্থাপন করা বিলে সরকারদলীয় নেতা নিমাল সিরিপালা ডি সিলভা সম্মতি প্রদান করেন। এরপর চূড়ান্ত প্রস্তাব পাস হয়। এরপরই আইসিসি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে এবং দেশটির সদস্য পদ স্থগিত করে।
এ ঘটনার জেরে অবশ্য মন্ত্রিসভা থেকে চলেও যেতে হয়েছে রোশান রামানসিংহেকে। দেশটির প্রেসিডেন্ট তাকে হত্যাচেষ্টা করছেন, সংসদে এমন অভিযোগ তুলেছিলেন রামানসিংহে। বলেছিলেন, ‘যদি আমাকে রাস্তায় হত্যা করা হয়, তাহলে এর জন্য প্রেসিডেন্ট ও তার চিফ অব স্টাফ দায়ী থাকবেন।’