জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মনি খাতুন (৩০) নামের এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ৪ নভেম্বর সকালে সাড়ে ১০টার দিকে রেলস্টেশনের দক্ষিণ আউটার সিগনালের কাছে হাস্তাবসন্তপুর গ্রামের মাঠের ২৭৫ নম্বর রেলব্রিজের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মনি খাতুন জেলার আক্কেলপুর উপজেলার গণিপুর মণ্ডল পাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাহার আলীর কন্যা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, আক্কেলপুর যাওয়ার উদ্দেশে কালো রঙের ছালোয়ার কামিজ ও লাল রঙের ওড়না গায়ে দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রেল লাইন দিয়ে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মনি খাতুন। আক্কেলপুর স্টেশনের দক্ষিণ আউটার সিগনালের কাছে রেলওয়ের ২৭৫ নম্বর ব্রিজ পার হওয়ার সময় চিলাহাটিগামী আন্তনগর ট্রেন তিতুমীর এক্সপ্রেস চলে আসে। ট্রেনের চালক সেই সময় ক্রমাগত হর্ন দিচ্ছিলেন।
তখন তিনি ট্রেন দেখতে পেয়ে দ্রুত ব্রিজ পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেনটি এসে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রেনের নিচে কাটা পরে ওই নারীর দেহ দ্বিখণ্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার দেহের একাংশ রেল লাইনের উপর আর অপর অংশ ব্রিজের নিচে পড়ে যায়।
নিহত মনি খাতুনের ভাই পুলিশ কনস্টেবল সুমুন বাগচী বলেন, আমার বোন জন্মগত প্রতিবন্ধি। তার বিয়ে হলেও দীর্ঘদিন আগে বিচ্ছেদ হয়েছে। মানসিকভাবে তিনি অসুস্থ এবং বাবা-মার সাথে থাকে। শুনলাম ট্রেনে কাটা পড়ে আজ মারা গেছেন।
নিহতের বাবা মুক্তিযোদ্ধা মোজাহার আলী বলেন, ‘আমার মেয়ে জন্ম থেকে বাকপ্রতিবন্ধী। আজ সকালে সে নাস্তা করে আক্কেলপুর যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মনির লাশ দেখতে পাই।’
আক্কেলপুর রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার রেহেনা পারভীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকালে ২৭৫ নম্বর রেল ব্রিজের কাছে রাজশাহী থেকে চিলাহাটিগামী আন্তনগর ট্রেন তিতুমীর এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে মারা এক নারী মারা গেছে। বিষয়টি রেলওয়ে থানায় জানানো হয়।
সান্তাহার রেলওয়ে থানায় যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে যে নারীর মৃত্যু হয়েছে আইনগত পক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।