বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মো: ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি।
পৃথক পৃথক শোক বার্তায় তারা তারা ফজলে রাব্বী মিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, সংসদ পরিচালনায় ফজলে রাব্বী মিয়ার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই ফজলে রাব্বী মিয়া আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ’৬২-এর শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। সংসদীয় গণতন্ত্রে অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মো: ফজলে রাব্বী মিয়া আজ দিবাগত রাত ২ টায় নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টার দিকে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
তিনি ১৯৪৬ সালে ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলায় সাঘাটা উপজেলার গটিয়াগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি গাইবান্ধা-৫ আসন হতে ৭ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
ডেপুটি স্পীকার মৃত্যুকালে তিন কন্যা ও নাতি নাতনীসহ অনেক গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার পরিবার পরিজন দেশবাসীর কাছে তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া প্রার্থনা করেছেন।