নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে কয়েকজন নিয়মিত ক্রিকেটারের বিশ্রাম ও চোট বদলে দিয়েছে বাংলাদেশ দলের চেহারা। আড়াই বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন বাঁহাতি ব্যাটার সৌম্য সরকার। বিশ্বকাপের আগে এটি বড় সুযোগ বাঁহাতি ওপেনারের সামনে।
কিউই-বধে বাংলাদেশের কম্বিনেশন যেমন হয়েছে তাতে সৌম্যর একাদশে থাকার সম্ভাবনাও প্রবল। কেননা স্কোয়াডে মাত্র তিন পেসার। মিডিয়াম পেস বোলিংটা পাওয়া গেলে অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচিত হতেই পারেন।
বিশ্বকাপের আগে সবশেষ সিরিজটি সৌম্যর জন্য বড় সুযোগ হয়েই আসছে। বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিতে প্রমাণ দিতে পারলে ওপেনিং সমস্যার সমাধানও মিলতে পারে। তামিম ইকবালের সঙ্গে লিটন দাসের ওপেনিং জুটির পারফরম্যান্স বেশিরভাগ সময়ই দলকে এনে দিয়েছে ভালো কিছু। তামিম ফিট থাকলে এই জুটি ভাঙার যৌক্তিকতা নেই। কেউ ফেল করতে পারেন, এই ভীতি থাকে। তৃতীয় ওপেনারের চর্চা সবসময় চলে বাংলাদেশ দলে। সেই জায়গাটা শক্তভাবে পূরণে ফেরার সম্ভাবনাও আছে কিছুটা।
ওপেনিংয়ে না হলেও তিন নম্বরে প্রমাণ দিতে হতে পারে সৌম্যকে। যেহেতু নাজমুল হোসেন শান্ত নেই এই সিরিজে। তাছাড়া সৌম্য সবশেষ সিরিজটিতে ব্যাট করেছিলেন তিনেই। ২০২১ সালের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে।
সেই প্রতিপক্ষকে নতুন করে শুরুর পথচলায় পাচ্ছেন সৌম্য। ভালো করতে না পারলে হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যেমন থাকবে, তেমনি থাকবে অপার সম্ভাবনাও। কোথাও রান না করার পরও সৌম্যকে স্কোয়াডে ফেরানোর সিদ্ধান্ত বলে দেয় তাকে ঘিরে পরিকল্পনা আছে টিম ম্যানেজমেন্টের। ১৫ জনের দলে ৬ জন ওপেনার রাখাটা কেনো, তাও স্পষ্ট। টপঅর্ডার হলে দুর্ভাবনার অপর নাম। এশিয়া কাপে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজ এক ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও বাকি ম্যাচগুলোতে রাখতে পারেননি সম্ভাবনার ছাপ।
চোটপ্রবণ তামিম বিশ্বকাপে সব ম্যাচ খেলার অবস্থায় না থাকলে বিকল্প লাগবে। তিন নম্বরে পাকা হয়ে যাওয়া শান্ত চোটে পড়ে ছিটকে গেছেন সিরিজ থেকে। তার জন্যও যদি বিকল্প ভাবতে হয় সেক্ষেত্রে তৈরি রাখতে হবে কাউকে। তাইতো টাইগার টপঅর্ডারে তামিম-লিটন থাকার পরও এনামুল হক বিজয়, তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান আছেন।
মুশফিকুর রহিম বিশ্রামে থাকায় সাতের সমাধান খোঁজার সুযোগ পেয়েছে বিসিবি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে তাই ফেরানো হয়েছে দলে। গুরুত্বপূর্ণ দুটি জায়গায় অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার পরীক্ষা দিতে নামবেন এবার। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু দুপুর ২টায়। সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি ও টি-স্পোর্টস।
ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশের অনুশীলনে বাগড়া দেয় বৃষ্টি। ইনডোরে নিজেদের ঝালিয়ে নেন ক্রিকেটাররা। ম্যাচের দিনও বৃষ্টির শঙ্কা প্রবল।