শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওভারে ৫ বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। ব্যাট হাতে তিনি তখন ৯৮ বলে ৮৩ রান করেন। লাহিরু কুমারার দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিলে স্ট্রাইক প্রান্তে যান তাসকিন আহমেদ। পরের বলে তাসকিন আবারও সিঙ্গেল নিলে স্ট্রাইক পেয়ে যান হৃদয়। পরের বলটি স্কুপ করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হন। শেষ দুই বলে দুই ছক্কায় ৯৬ রানে অপরাজিত থাকলেও ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পাননি ২৩ বর্ষী টপ অর্ডার ব্যাটার।
চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে টসে জিতে স্বাগতিকদের আগে ব্যাটের আমন্ত্রণ জানান লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৬ রান তোলে লাল-সবুজের দল। জবাবে ১৭ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে লঙ্কানরা। এতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা টেনেছে স্বাগতিকরা ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে হৃদয় বলেছেন, ‘আমার কোনো আক্ষেপ নেই, যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। হ্যাঁ, বলতে পারেন হয়তো ৯৬, আরেকটা বল থাকলে হয়তো কিছু হতে পারতো। তবে আমি তো প্রথম বলেও আউট হয়ে যেতে পারতাম। আগের ম্যাচে রান করতে পারিনি। টি-টুয়েন্টিতেও দ্রুত আউট হয়ে গেছি। আমার পরিকল্পনা থাকে যদি শুরু পেয়ে যাই যেন সেটিকে বড় করতে পারি।’
এদিন হৃদয়কে ছোট ছোট সঙ্গ দিয়ে ফিরে যান সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ১০২ বলে ৯৬ রান করে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। হৃদয়ের ক্যারিয়ারসেরা ব্যাটিং এটি। ওয়ানডেতে হৃদয়ের সর্বোচ্চ রান ছিল ৯২। ৭৪ বলে তোলেন ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি। পরের ৩২ বলে করেন ৪৬ রান।