এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
চলমান তাপপ্রবাহে বিভিন্ন জেলায় শিক্ষা কার্যক্রম কোথাও বন্ধ এবং কোথাও চালু রয়েছে। এই বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা সমস্যার সমাধান নয়।
গরমে বিভিন্ন জেলায় শিক্ষা কার্যক্রম কোথাও বন্ধ এবং কোথাও চালু রয়েছে। চালু থাকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, অসহ্য গরম আর লোডশেডিংয়ে ভালো নেই তারা। অবকাঠামোর দিক দিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান পিছিয়ে রয়েছে সেগুলোতে পাঠদান খুবই কষ্টকর, বলছেন শিক্ষকরা। তীব্র গরমের শুরু থেকেই যেসব অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি সেখানে বিদ্যালয় বন্ধের পক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা সমস্যার সমাধান নয়।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের সাখুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতন। শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগের সাথে বড় পানির বোতল আর হাতপাখা। শ্রেণিকক্ষে ফ্যান থাকলেও বিদ্যুতের যাওয়া-আসার মধ্যে হাতপাখায় শীতল হওয়ার চেষ্টা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, গরমে অতিষ্ঠ তারা। মন্ত্রণালয়ের আদেশ আছে বলেই বাধ্য হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কথা জানান শিক্ষকরা।
যেসব বিদ্যালয় অবকাঠামোর দিক দিয়ে পিছিয়ে সেখানে শিক্ষার্থীদের সমস্যা আরো প্রকট। কক্সবাজারের রামুর রশিদ নগরের পানির ছড়া এস এইচ ডি মডেল হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা বসছেন গাদাগাদি করে। ছাদের টিনের তাপে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া কঠিন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা এবং ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর এবং পটুয়াখালী জেলার মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সারা দেশেই মঙ্গলবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। তবে বন্ধ ছিল সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ঢাকায় স্কুল বন্ধের ঘোষণা থাকলেও একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। রাজধানীর উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম বলছেন, প্রখর রোদ উপেক্ষা করে যারা এসেছেন শিক্ষা পাওয়া তাদের অধিকার।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানান, কিছু এলাকার সমস্যার জন্য পুরো দেশের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের পক্ষে নয় মন্ত্রণালয়। দুর্যোগের সময় শিক্ষা কার্যক্রম কোন প্রক্রিয়ায় চলবে তা নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।