কিংবদন্তী নির্মাতা, লেখক ও গীতিকার আমজাদ হোসেন নেই ৫ বছর! ২০১৮ সালের এই দিনে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি। মৃত্যুদিনে তাঁকে স্মরণ করছে দেশের সিনেপ্রেমী মানুষ।
এদিকে বাবার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে শোকস্মৃতিই প্রকাশ করলেন আমজাদ হোসেনের ছোট ছেলে সোহেল আরমান। প্রতি পলে বাবার শূন্যতা অনুভব করেন জানিয়ে নির্মাতাপুত্র বলেন,“দিন চলে যায় ঠিকই কিন্তু কিছু স্মৃতির সাথে প্রতিনিয়ত বসবাস করতে হয়। বাবা হারানোর তীব্র যন্ত্রণা মাঝে মাঝেই নিজেকে খুব অসহায়, অস্থির একাকী করে ফেলে আমাকে। কতদিন দেখিনা বাবাকে! ছোটবেলার মতই নিজেকে সান্ত্বনা দেই…বাবা শুটিং এ গেছে একমাস পর ফিরবে। হয়তো কোন গোলাপীর জীবন ছবি ক্যামেরা বন্দি করতে গেছে।
বাবার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সোহেল আরো বলেন,“বাবা, আমি এখনও সেই দৃশ্য দেখি, এটা তোমারই ফেলে যাওয়া একটুকরো অতীত… তুমিও কি দেখো ওপার থেকে। এমনিভাবে আমি তোমার সাথে প্রতিনিয়ত বসবাস করি। কোন এক অবুঝ ছেলের মতই বলি… আমার বাবাই সবচেয়ে ভালো বাবা, আমার বাবাই শ্রেষ্ঠ। স্বর্ণময় কর্মজীবনে এমন হাজার হাজার স্মৃতি রেখে গেছো অগণিত মানুষের মাঝে। তোমার সৃষ্টি নিয়ে যত বলবো ততই কম হয়ে যাবে । আজ বাবার পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকী । দোয়া করবেন সবাই।”
আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় জনপ্রিয়তা পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি।
১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া নানামাত্রিক কাজের জন্য ১৪ বার জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। একইসাথে বাংলা একাডেমী পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।