দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য ঢাকা জেলার হয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ফরম সংগ্রহ করেন তিনি।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার পর অভিনেত্রী সংবাদকর্মীদের নানান প্রশ্নের সম্মুখিন হন। কেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিলেন? এমন প্রশ্নে সাবা বলেন, শুধু আমার প্রজন্ম থেকে নয়, আমার বাবা ১৩ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি শুধু আওয়ামীপন্থী নয়, দেশপন্থী। দেশের কথা ভাবলে, দেশের শেকড়ের কথা ভাবলে আওয়ামী লীগকেই ভাবতে হবে। সত্যি যদি কেউ দেশকে ভালোবাসে, এটা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নাই।
সাবা বলেন, আমরা খুবই ভাগ্যবান, বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ আামাদের সাথে আছে। ইনশাল্লাহ আগামি ৫ বছরও থাকবে। অবশ্যই আমি চাইবো, আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে।
‘এক্টিভলি আমি রাজনীতি করিনি। তবে নানা সময়ে যখন নির্বাচন হয়েছে, প্রচারণায় আমি ছিলাম। কিন্তু নিজে কখনো এভাবে ভাবিনি। আমার বাবা রাজনীতি করতেন, আমি কখনো রাজনীতি করবো, এটা ভাবিনি।’ বলছিলেন সাবা।
খেলাধুলা কিংবা বিনোদন অঙ্গণ থেকে ইদানিং অনেকেই রাজনীতিতে আসছেন। এরফলে কি যারা মাঠ পর্যায়ে রাজনীতি করছেন, তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে? জবাবে সাবা বলেন, এবারের নির্বাচনেও যদি আমরা দেখি, খেলোয়ার বা অভিনয়শিল্পীদের অংশগ্রহণ ১ বা ২ পার্সেন্ট এর বেশী কিন্তু নেই। আমরা কেন মনে করি, কন্ট্রিবিউশনটা শুধু একটা এঙ্গেল থেকে আসবে! কন্ট্রিবিউশনতো নানান এঙ্গেল থেকেও আসতে পারে।
এ প্রসঙ্গে সাবা আরো বলেন, যে যার জায়গা থেকে নিজের কাজটা অনেস্টলি করছে, সে-ই কিন্তু দেশপ্রেমিক। সাকিবকেই তো মিন করছেন, সাকিবের কথাই বলি- ওর মতো আমাদের বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে এতো সুন্দর করে কেউ নিয়ে যায়নি। ফেরদৌস ভাই প্রথম বোধহয় একটা মানুষ, যার সিডিউল পেতে দেশের বাইরে কাড়াকাড়ি লেগে যেত। তো তাদের মতো মানুষ যখন রাজনীতিতে এগিয়ে আসছে, এটাকে পজিটিভলি নিতে হবে। আমি আবার বলছি যারা মাঠকর্মী বা আসলেই ডেডিকেশন নিয়ে রাজনীতি করেন, তাদেরকে কিন্তু আমরা একেবারেই কোনঠাসা করছি না বা সরিয়ে দিচ্ছি না। কিন্তু একইসঙ্গে আমাদের আলাদা মানুষ ভাবার কোনো কারণ নাই। আমরা কিন্তু দেশেরই একটা অংশীদার। দেশের সুনামের জন্য আমরা বরাবরই কাজ করেছি।
সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি। এরইমধ্যে ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাদের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত আসনে সদস্য নির্বাচনের ক্ষমতা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগ তাদের দলের এবং স্বতন্ত্রদের মিলে ৪৮ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য দিতে পারবে। বাকি দুটি আসনে নারী সংসদ সদস্য দিতে পারবে জাতীয় পার্টি (জাপা)।