সম্প্রতি ভারতের উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের তাদের মুসলিম সহপাঠীকে চড় মারার জন্য নির্দেশ দেয় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। এই ঘটনাটি সারাদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। অবশেষে শুরু হয় ঘটনার তদন্ত। তদন্ত চলাকালীন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ওই স্কুল।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল ২৭ আগস্ট রোববার ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের খুব্বাপুর গ্রামের নেহা পাবলিক স্কুলে মুসলিম সহপাঠীকে চড় মারার ঘটনার তদন্তের কাজের কারণে বন্ধ রাখার জন্য স্কুল পরিচালককে নোটিশ পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা বিভাগ। তবে বন্ধ থাকার কারণে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের যেন পড়াশোনার সমস্যা না হয়, সে জন্য তাদেরকে আশেপাশের স্কুলগুলোতে ভর্তি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিশটিতে।
গত বৃহস্পতিবার হোমওয়ার্ক না করার জন্য একজন সাত বছর বয়সী মুসলিম শিক্ষার্থীকে তার সহপাঠীদের চড় মারার নির্দেশ দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তৃপ্তি ত্যাগী।
এই ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই মুসলিম শিক্ষার্থী শিশুটি দাঁড়িয়ে কাঁদছে, প্রধান শিক্ষিকা তৃপ্তি অন্য শিশুদের একে একে উঠে এসে তাকে চড় মারার নির্দেশ দিচ্ছেন। এসময় তৃপ্তি ত্যাগী বলেন, ‘আমি তো বলেছি, এখানে যত মুসলিম বাচ্চা আছ, তারা এখান থেকে চলে যাও।’
এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃপ্তি ত্যাগী। তিনি বলেন, মুসলিম শিশুটির বাবা-মা শিশুটির ব্যাপারে কঠোর হওয়ার জন্য আমাকে চাপ দিয়েছিল। তাই তাকে চড় মারার জন্য কিছু ছাত্রকে নির্দেশ দিয়েছিলাম, যাতে সে হোম ওয়ার্ক করতে শুরু করে।