বন্যায় সুনামগঞ্জের অনেক এলাকার ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা এখনও তলিয়ে আছে পানিতে। আশ্রয় কেন্দ্রে অনেক মানুষ। মানুষের খাবারের সাথে সাথে গবাদিপশুর খাদ্য সংকটও প্রকট। ত্রাণসামগ্রীর অপেক্ষায় থাকেন বানভাসিরা।
নৌযান ছাড়া যোগাযোগের কোনো মাধ্যম নেই। কবে পানি নামবে, কবে ফিরতে পারবেন বাড়িতে সেই আশায় দিন গুনছেন বন্যার্তরা।
যেদিকে তাকানো যায় সবখানেই পানি। সুনামগঞ্জের সব এলাকার চিত্র এমনই। থৈ থৈ পানির মধ্যে কোথাও বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত কিছু বাড়ি ঘর দেখা যায়। তবে সেসব বাড়িতে বসবাসের অবস্থা নেই। বেশিরভাগ মানুষের ঠিকানা এখন আশ্রয় কেন্দ্র। গবাদি পশু আর মানুষ মিলেমিশে আছে আশ্রয় কেন্দ্রে। খাবার যোগারের অবস্থাও নেই। সুপেয় পানির সংকট তীব্র। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার দিলেই জোটে খাবার।
সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন: যাদের বাড়ি তুলনামূলক কম ডুবেছে তারা বাড়িতে থাকলেও অপেক্ষায় থাকেন খাবারের। বিভিন্ন দূরত্বে আশ্রয় কেন্দ্র ও বাড়িতে খাবার পৌঁছানোও সহজসাধ্য নয়। নৌযানে পৌঁছাতে হয় খাবার।
বন্যার পানিতে ডুবে থাকা ঘর বাড়িতে কবে ফিরতে পারবেন বানভাসি মানুষ তা জানেন না।