শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দুর্দান্ত করেছেন টাইগার টপঅর্ডার। মাধুশঙ্কা-হাসারাঙ্গার বোলিং তোপে লিটন দাস-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যর্থ হলেও রান পেয়েছেন সৌম্য সরকার ও তাওহীদ হৃদয়। ফিফটি পেয়েছেন দুজনই। তবে লঙ্কান বোলিংয়ের উপর ঝড় তুলেছেন হৃদয়। তার ক্যারিয়ারসেরা অপরাজিত ৯৬ রানে সিরিজ জয়ের জন্য ২৮৬ রানের ভিত গড়েছে টিম টাইগার্স।
চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে টসে জিতে স্বাগতিকদের আগে ব্যাটের আমন্ত্রণ জানান লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২৮৬ রানের সংগ্রহ পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
আগে ব্যাটে নেমে প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয়টিতেও ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস। পরপর দুই ম্যাচে মেরেছেন ডাক। প্রথমটিতে গোল্ডেন ডাক মারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দু’বল বেশি খেলেছেন। ইনিংসের তৃতীয় বলে মাধুশঙ্কার বলে স্কয়ারলেগে ওয়েল্লাগের হাতে ক্যাচ দেন টাইগার ওপেনার।
নেমে রানের খাতা খোলার আগেই জীবন পান শান্ত। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে টপএজ হন। স্লিপে থাকা পাথুম নিশাঙ্কা বল তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন। বল চলে যায় সীমানার বাইরে।
জীবন পেয়ে আর ফিরে তাকাননি টাইগার অধিনায়ক। সৌম্য সরকারকে নিয়ে গড়েন ৭৫ রানের জুটি। ১২.২ ওভারে শান্ত ধরা দেন মেন্ডিসের হাতে। মাধুশঙ্কার গুডলেন্থের বল আউটসাইট এজ হয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। ৬টি চারে ৩৯ বলে ৪০ রান করে যান টাইগার দলপতি।
৭৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর হৃদয়কে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বরূপে ফিরেছেন। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি। সেইসঙ্গে দশম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে দুই হাজার রানের ক্লাবে ঢুকেছেন।
ম্যাচের আগে দুই হাজারি ক্লাবে পৌঁছাতে সৌম্যর দরকার ছিল ৫৬ রান। ১১ চার ও এক ছক্কায় ৬৬ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন। তার রানসংখ্যা এখন ২০১২। ৬৮তম ম্যাচে এসে এই ক্লাবে পৌঁছালেন। নয় বছরের ক্যারিয়ারে ৬৪ ইনিংসে ব্যাট করে ১২ ফিফটি ও ৩ সেঞ্চুরি তুলেছেন তারকা ওপেনার।
২১.২ ওভারে হাসারাঙ্গার বলে তালুবন্দি হন মাধুশঙ্কার হাতে। সৌম্য ফেরার পর টিকতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ২ বল মোকাবেলা করে রানের খাতা খোলার আগে ফিরে যান।
রান পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। তিন চারে ২৮ বলে ২৫ রান করে ফিরেছেন। টিকতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। ১৮ বলে ১২ রান করে ফিরে যান।
৩৫.৫ ওভারে ১৮৯ রানে মিরাজ ফেরার পর তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে ৬২ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন হৃদয়। ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে হাসারাঙার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তানজিম। ৩৩ বলে ১৮ রান করেন লোয়ারঅর্ডার ব্যাটার।
শেষদিকে তাসকিন আহমেদকে সঙ্গী করে ২৩ বলে ৫০ রানের ঝড়ো অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ইনিংস শেষ করেন হৃদয়। ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ১০২ বলে ৯৬ রান করে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। হৃদয়ের ক্যারিয়ারসেরা ব্যাটিং এটি। ওয়ানডেতে হৃদয়ের সর্বোচ্চ রান ছিল ৯২। দুটি চার ও এক ছক্কায় ১০ বলে ১৮ রানের ঝড়ো ক্যামিও উপহার দেন তাসকিন।
লঙ্কানদের হয়ে আগুনঝরা বোলিং করেছেন ভানিডু হাসারাঙ্গা। ১০ ওভারে ৪৫ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। দিলশান মাধুশঙ্কা দুটি এবং প্রমোধ মাধুশান নেন এক উইকেট।