চোটের সঙ্গে বারবার লড়াইয়ে বোলিংয়ে ধার কমতে শুরু করেছিল। অনেকে ক্যারিয়ারের শেষও দেখে ফেলেছিলেন। করোনাকালে তাসকিন আহমেদ নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন নতুন করে। বাংলাদেশ দলের সেরা বোলার হিসেবেই এখন বিবেচিত হচ্ছেন গতি তারকা। দুর্ভাগ্য শুধু চোটের কারণে প্রত্যাশিতভাবে নিয়মিত হতে পারছেন না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ দল মিস করছে তাসকিনকে। অ্যান্টিগায় স্বাগতিকদের কাছে প্রথম টেস্টে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তাসকিনকে। যা অনুপ্রাণিত করেছে টাইগার পেসারকে।
শুক্রবার উইন্ডিজের পথে রওনা হবেন তাসকিন। ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলবেন। আগের চোট থেকে মুক্ত হতেই জিম করতে গিয়ে নতুন করে চোট পেয়েছিলেন। অবশ্য তা খেলায় বাধা হয়ে আসার মতো না।
বুধবার মিরপুরে বোলিং অনুশীলন করেছেন তাসকিন। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। খুলে দেন মনের দুয়ার!

চোট ও বর্তমান অবস্থা
কয়েকদিন আগে জিম করতে গিয়ে ব্যথা পেয়েছিলাম। এখন ঠিক আছি। গত দুইদিন বোলিং করলাম। ভালো আছি এখন। তারা (ম্যানেজমেন্ট) সবাই সন্তুষ্ট, আমিও সন্তুষ্ট। পরশু যাব (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)। ওভারঅল খুশি আছি এবং ভালো আছি।
এফোর্ট
গতকাল এবং আজকে একশ শতাংশ দিয়েই বোলিং করার চেষ্টা করেছি এবং এফোর্টগুলো ঠিক ছিল। সবধরনের বলই চেষ্টা করেছি এবং এখানে আমাদের নির্বাচকরা, ডাক্তার সবাই ছিলেন। তারাও সন্তুষ্ট, আমিও সন্তুষ্ট। সমস্যা হয়নি, এখন সামনে বাকিসব আল্লাহর ইচ্ছা।
সাকিবের প্রশংসা
এটা আসলে নো ডাউট তিনি একজন লিজেন্ড। তিনি যখন বলেছেন ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো লেগেছে আমার। আরও অনুপ্রাণিত করেছে আমাকে যে, আরও ভালো করতে পারব। খুব ভালো লেগেছে আসলে।
ডিউক বল
টেস্ট ম্যাচ তো ডিউক বলে খেলা হচ্ছে, আমার ইচ্ছা ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত খেলা হল না। ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি কুকাবুরা বলেই হবে, যেটাতেই হোক নিজের সেরাটা দিবো। হাতে যেটা আছে প্রসেস, সেটাই ফলো করব। দিনশেষে বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।
লক্ষ্য
চাইব সুযোগ পেলে সেরাটা দিয়ে জয় উপহার দিতে। সবসময়ই এটাই ইচ্ছা থাকে। শতভাগ দিবো। আসলেই ইনজুরি ফাস্ট বোলারদের টুকটাক হয়। হলে আবার কামব্যাক করতে হবে এটাই চ্যালেঞ্জ এবং এটাতে মজাও আছে। এখন যেটা আছে হাতে সেটাতেই ফোকাস করতে চাচ্ছি। নিজের রিহ্যাব, প্রোগ্রাম, মেইনটেনেন্স। প্রায় আড়াই মাস পর দলের সাথে যুক্ত হতে পারলে এটা সবথেকে বেশি আনন্দের। একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য এটাই সবথেকে শান্তির বিষয় দলের সঙ্গে থাকা।
পছন্দের ফরম্যাট
আসলে সব ফরম্যাটই আমাদের পছন্দের। কিছু ফরম্যাটে ভালো হয়, কিছু ফরম্যাটে খারাপ হয়। সাদা বলে ভালো সাইড আমরা। আমাদের অ্যাবিলিটি আছে ভালো করার। তবুও ক্রিকেট খেলা, কোনকিছুই সহজ হবে না ওদের কন্ডিশনে। ভালো করতে হলে আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে এবং আমাদের সেই সক্ষমতা আছে। এখন দেখি কী হয়।
কন্ডিশন ও সতীর্থদের সঙ্গে কথা
আসলে ওরা ম্যাচের মধ্যে ছিল। তাই ম্যাচের মাঝখানে কথা হয় নাই। এখন হয়তো গিয়ে কথা হবে। এক্সপার্টরা আছে, কোচরা আছে, তারা হেল্প করবে। ভিডিও অ্যানালিস্ট আছেন, একেক গ্রাউন্ডে একেক স্ট্যাটাস থাকে, সেই অনুযায়ী ট্রাই করব। তবে আসলে অতকিছু চিন্তা করছি না। আগে যাই, দেখি কী হয়। সবাই এটাই দোয়া করবেন যেন সুস্থ থাকি।
