বাচসাস সম্মাননা পেয়ে যা বললেন শাকিব খান
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) ২০২২-২৪ সালের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক ও বাচসাস সম্মাননা-২০২২ অনুষ্ঠানটির ধারণকৃত অংশ প্রচার করছে চ্যানেল আই
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) ২০২২-২৪ সালের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক ও বাচসাস সম্মাননা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে কদিন আগে। সেখানে ‘বাংলা চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য’ সম্মাননা দেয়া হয় সুপারস্টার শাকিব খানকে।
কিন্তু শুটিং ব্যবস্থায় সেদিন শাকিব খান উপস্থিত থাকতে পারেননি। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাতে বাচসাস এর নির্বাচিত কমিটির কয়েকজন এসে শাকিবের হাতে সম্মাননা ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
এসময় বাচসাসের সভাপতি রাজু আলিমের হাত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন জনপ্রিয় এ নায়ক। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, নির্বাহী সদস্য আনিসুল হক রাশেদ ও আমিনুর রহমান লিটন।
সম্মাননা স্বরূপ ক্রেস্ট গ্রহণের পর চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটি নিয়ে শাকিব খান সফলতা কামনা করে বলেন, বাচসাস একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। একটা সময় বাচসাস অ্যাওয়ার্ড যারা পেতেন তারাই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেতেন। বাচসাস জুরিবোর্ড এতটাই শক্তিশালী ছিলো। বাচসাসের সেই গতিটা থেমে গেছে। আমার বিশ্বাস বর্তমান কমিটি বাচসাসের ঐতিহ্যের সেই পুরানো জায়গায় ফিরে যাবে। এটাই বর্তমান কমিটির কাছে আমার প্রত্যাশা। বাচসাসকে গতিশীল জায়গায় নিয়ে যাবেন সেই শুভ কামনা রইলো।’
বাচসাসের সভাপতি রাজু আলীম বলেন, ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার বলা হয় শাকিব খানকে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলা চলচ্চিত্রে অবদান রেখে চলেছেন। তাকে সম্মাননা জানাতে পেরে বাচসাসের নতুন কমিটি আনন্দিত। আশা করি তিনি আগামি দিনেও ঢাকাই সিনেমার উন্নতি সাধনে ভূমিকা রেখে চলবেন।
গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক ও বাচসাস সম্মাননা-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শাকিব ছাড়াও বাচসাস সম্মাননা পেয়েছেন সাহিত্য নির্ভর চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য রাবেয়া খাতুন (মরণোত্তর), সাহিত্য নির্ভর চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক (মরণোত্তর), একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার (মরণোত্তর), বরেণ্য সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী (মরণোত্তর), সাহিত্য নির্ভর চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক জাগরণে অনবদ্য অবদানের জন্য লিয়াকত আলী লাকী, সাহিত্য নির্ভর চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য আনিসুল হক, নাটক ও চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মাসুম রেজা, একুশে পদক প্রাপ্ত ফটো সাংবাদিক ও বাচসাস সদস্য পাভেল রহমান, চলচ্চিত্র শিল্প ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের জন্য চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, টিভি সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য মোজাম্মেল বাবু, চলচ্চিত্র প্রযোজনায় বিশেষ অবদানের জন্য হাবিবুর রহমান খান, ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ চলচ্চিত্রের জন্য পিপলু আর খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, বরেণ্য সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান, চারুশিল্পী, অভিনয় ও নির্দেশনায় আফজাল হোসেন, চলচ্চিত্র শিল্পে অবদান রাখার জন্য চিত্রনায়ক শাকিব খান ও সঙ্গীতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী কোনাল ও ইমরান মাহমুদুল।