এশিয়া কাপে বাংলাদেশের খেলা চার ম্যাচের একটিতেও জ্বলে উঠতে পারেননি নাঈম শেখ। উইকেটে থিতু হওয়ার পর নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন বাঁহাতি ওপেনার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৬ বলে তার ব্যাটে আসে ২১ রান। ফেরেন শানাকার বাউন্সারে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে। আউটের ধরন ছিল দৃষ্টিকটু! সংবাদ সম্মেলনে পরে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অবশ্য নাঈমের প্রশংসাই করেছেন। জানিয়েছেন ভুল কোথায়।
‘শুধু একটা আউট নিয়ে বলে লাভ নেই। এটি নাঈমের চার নম্বর ম্যাচ। চারটির মধ্যে চারটিই খেলেছে। নাঈমের ক্ষেত্রে যদি বলতে চান, তার চারটি ম্যাচেই কিন্তু ভালো শুরু করেছিল। এমন না যে উইকেটে গিয়েই আউট হয়ে যাচ্ছে। ওর আসলে স্কিলের চেয়ে মানসিক জায়গায় কাজ করতে হবে বেশি। একজন ব্যাটসম্যান ঠিকঠাক মতো ২০ রান করতে পারে, তার মানে ওর ৮০ বা ১০০ রান করারও ক্ষমতা আছে।’
গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে নাঈমের ব্যাটে এসেছে ১৬ ও ২৮ রান। সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০ রানের পর শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৬ বলে ২১ রান। স্ট্রাইকরেট ৪৫.৬৫।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টিকে থাকার লড়াইয়ে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত প্রদর্শনীতে তাদের ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৭ রানে থামায় টিম টাইগার্স। জবাবে ৪৮.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রানে থামে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে টানা দুই পরাজয়ে ফাইনালের পথ দূরের করে দিয়েছে সাকিবদের।
এমন হার নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘এরকম ঝামেলার উইকেটে আমরা উপরের চারজন যদি একটা বড় জুটি করতে পারতাম, ড্রেসিংরুম অনেকবেশি শান্ত হয়ে যেত এবং আমাদের আত্মবিশ্বাসও বাড়ত। দ্রুত চারটা উইকেট পড়ে যাওয়াতে আমাদের খেলাটা বদলাতে হয়েছে। ওখান থেকে ফেরা কঠিন ছিল। যদিও হৃদয়ের একটা বড় জুটি হয়েছে, তবে আরও বড় জুটি দরকার ছিল। ম্যাচ জেতানোর মতো একটি ইনিংস খেলতে হতো হৃদয়কে।’