৯ মাস পর দেশে ফিরে হইচই ফেলে দিলেন তারকা অভিনেতা শাকিব খান। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে তিনি গণমাধ্যমে কথা বলেন। সেখানে শাকিবকে বরণ করতে হাজার হাজার অনুসারী জড়ো হয়।
চলচ্চিত্রের কোনো নায়কের ক্যারিয়ারে ভক্তদের এমন মাতামাতি খুব একটা দেখা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শাকিবকে বরণ করতে ভক্তদের এমন কাণ্ড বিরল।
সরে জমিনে আলাপ করে জানা যায়, খুলনা, যশোর, ভোলা, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, চিটাগং, দিনাজপুর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা ফুল ও ব্যানার নিয়ে শাকিবকে বরণ করে নেয়। বিমানবন্দরে কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রাজনৈতিক নেতাদের আগমনে কর্মীরা বিমানবন্দরে বরণ করতে দেখেছেন। কিন্তু কোনো নায়ককে এভাবে বরণ করতে তিনি আগে কখনই দেখেননি।
শাকিব খান নিজেও তখন উচ্ছ্বসিত হয়ে জানান, তিনি কল্পনাও করেননি এমনটা ঘটবে। ভক্তদের এই পাগলামির কাছে তিনি চির ঋণী!
বেলা আড়াইটার দিকে এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি গুলশানের বাসায় যান শাকিব খান। সেখানে শাকিব ভক্তদের এই কাণ্ড দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছিলেন। বলছিলেন, এক জীবনে এর চেয়ে পাওয়া কিছু হতে পারে না। যারা শুধু ভালোবাসার টানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে। এরা ভালোবাসে বলেই শত বাঁধা বিপত্তি পার করে এগিয়ে যাচ্ছি। সবসময় ফ্যানরা আমাকে সাপোর্ট করেছে। তারা না থাকলে আমার অস্তিত্ব থাকতো না।
শাকিব খান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমেরিকায় শেষ এক সপ্তাহ যেন মোটেও শেষ হচ্ছিল না। শেষ ৭ দিন আমার কাছে ৭ বছরের মতো মনে হয়েছে। তুর্কিতে ট্রানজিট নেয়ার পর একটু পর পর খোঁজ নিচ্ছিলাম ঢাকা যেতে আর কতসময় বাকি? মনটা ছটফট করছিল ঢাকায় পা রাখার জন্য।
তিনি বলেন, দেশে ও বিদেশে মিলে অনেকগুলো সিনেমার সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। কোনটা কীভাবে শুরু করবো সবাই ধীরে ধীরে জানতে পারবে। তবে যা হবে আগে কখনই হয়নি। শিগগির এসকে ফিল্মসের ব্যানারে নাম চূড়ান্ত না হওয়া (মায়া) সিনেমার শুটিং শুরু হবে। পরিচালক চেইঞ্জ হবে না। এর বাইরে নতুন অনেকেই আমার সঙ্গে কাজ করবে। আগামীতে তপু খানের লিডার সিনেমা আসবে। হয়তো সে আমার সঙ্গে সামনে আরও কাজ করবে।
তিনি বলেন, যারা মেধাবী আগামীতে তাদের সঙ্গে কাজ করবো। কারণ আমি সবসময় মেধার মূল্যায়ন করি। জুনিয়র-সিনিয়র যেই হোক মেধাবীর দাম আমার কাছে সবার আগে। সামনে বেঁছে বেঁছে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে দুই জায়গাতেই কাজ করবো।
শাকিব খান নিজের ব্যক্তিগত জীবন প্রসঙ্গে বলেন, আর গোপনে কিছুই করবো না। বিয়ে করলে ধুমধাম আয়োজনে সবাইকে জানিয়ে করবো। পরিবার চাচ্ছে আমি সেটেল হই। আগেরবার নিজের ইচ্ছেতে করেছিলাম। এবার যা কিছু হবে পরিবারের পছন্দে হবে। হয়তো শিগগির হবে। আমার পরিবার চাইছে, সুন্দর গোছানো কিছু হোক। সবাই একসঙ্গে আনন্দে জীবনটা পার করে দেই।
পুত্র আব্রাম খান জয়ের প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ওর সঙ্গে তো প্রতিনিয়ত ভিডিও কলে কথা হয়েছে। আমি আবার বাবা মায়ের সঙ্গেও নিয়মিত কথা বলেছি। দেশে আমার অনেক আপন মানুষ আছে তাদের সঙ্গে সবসময় আমার যোগাযোগ ছিল। বিদেশেও নতুন নতুন বন্ধু হয়েছে। তারা সবসময় আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে।