৩১ অক্টোবর ঘোষিত হয়েছে ২০২২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের নাম। এবার ২৭ টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের সংখ্যা ৩২টি। বিজয়ীদের মধ্যে ‘শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা’ হয়েছেন ‘হৃদয়ের কথা’ খ্যাত নামী নির্মাতা এস এ হক অলিক।
গেল বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া এস এ হক অলিক তার পরিচালিত ‘গলুই’ ছবির জন্য এই পুরস্কার পাচ্ছেন। একই ছবির কাহিনীকার হিসেবে ‘গলুই’র প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার’ এর পুরস্কার পাচ্ছেন।
পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি জানিয়ে এসএ হক অলিক বলেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনেক বড় ব্যাপার এবং এটি আমার প্রথম জাতীয় পুরস্কার। ‘গলুই’ নির্মাণে আমার একার অবদান নেই। শাকিব খান, পূজা চেরী, সুচরিতা, আলী রাজ, আজিজুল হাকিম সহ যারা অভিনয় করেছে, প্রত্যেকেই সুন্দরভাবে সংলাপ উপস্থাপন করেছেন বলে জুরি বোর্ড যোগ্য মনে করেছেন। প্রত্যেক শিল্পী তাদের অভিনয়ে মনোযোগি ছিলেন।
অলিক বলেন, শাকিবের মতো অভিনেতা ৩৯ দিন শুটিং করে শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত চরিত্রের সাথে বসবাস করেছেন। এ ছবিতে শাকিব খানকে দর্শকদের কাছে কেমন লেগেছে তাদের ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার, কিন্তু নির্মাতা হিসেবে বলবো শাকিব খান মনপ্রাণ উজাড় করে অভিনয় করেছেন। এ কারণে ‘গলুই’ এর জন্য শাকিব খান অ্যাওয়ার্ড পেলে আমি বেশি খুশি হতাম। এছাড়া মনে করেছিলাম কোরিওগ্রাফিতে হাবীব পুরস্কার পেতে পারতো। সেট ডিজাইন থেকে পুরস্কার পেতে পারতো। তবে খসরু ভাই কাহিনীকার হিসেবে পেয়েছেন এতে ভালো লাগছে। জুরি বোর্ড বাকিদের কেন দেননি সেটা তাদের ব্যাপার।
“শাকিব খান সুপারস্টার। তিনি যেভাবে সাহস করে নিজেকে গলুইতে ভেঙেছেন, এই বিষয়টি যারা জুরিতে ছিলেন তারা বিবেচনা করতে পারতেন। তার ভেঙে নিজেকে নতুনভাবে তৈরির বিষয়টি স্বীকৃতি দিলে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতে পারতো।”-বলছিলেন অলিক।
বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে সরকারী অনুদানের ছবিগুলো নয় ছয় করে মুক্তি দেয়া হতো। অনেক ছবির আবার বছরের পর বছর অনুদান নেয়ার পর খোঁজ মিলতো না। কিন্তু ২০২১-২০২২ অর্থ বছর শাকিব খান যখন সরকারী অনুদানে ‘গলুই’ করেছেন, এরপর ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে সরকারী অনুদানের বিষয়টি। প্রযোজক খসরু আগেই জানান, অনুদানের চেয়ে কয়েকগুণ টাকা তিনি এ ছবিতে লগ্নী করেছেন। পরিচালক অলিক বলেন, অনুদানের চেয়ে বেশি টাকায় যা যা বাজেট প্রয়োজন সেভাবেই নির্মাণ করেছেন খসরু ভাই। তাই গলুই এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হতে পারে।
প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের কয়েকটি বিভাগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এসব বিষয়ে জুরি বোর্ডের প্রসঙ্গ তুলে অলিক বলেন, জুরি বোর্ডে যারা ছবি দেখেন তারা নিজের মতো করে ভাবেন। কিন্তু তাদের নিজে ভাবার আগে নির্মাতা লেখকের ভাবনা ভাবা উচিত। আরেকজনের নির্মাণকে নিজের মতো করে ভাবলে হবে না। এগুলো বুঝে বিশ্লেষণ করা উচিত।