বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার নিশ্চয়তা অর্জন করলেও ভালো পারফর্ম করতে পারেনি। অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের তেমন উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স ছিল না। তবে খেলোয়াড় সাকিব ব্যর্থ হলেও এবার ব্যক্তি সাকিবের সাফল্যের পালকে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও একটি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান তিনি। তবে সেই কথা আপাতত গোপন রাখতে চান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
শনিবার তিনটি আসন থেকে নৌকার মনোয়ন পত্র কিনেন সাকিব। আওয়ামী লীগের দপ্তর সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। মাগুরা-১ ও মাগুরা-২ এবং ঢাকা- ১০ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তিনি। সাকিব আল হাসানের পক্ষে তার একজন প্রতিনিধি মনোনয়ন ফরমগুলো সংগ্রহ করেছেন।
মনোনয়ন তোলার পর বেসরকারি একটি সংবাদ মাধ্যমে সাকিব জানান, ‘ভবিষ্যতে কি হবে সেটা বলা বেশ কঠিন। করোনা ভাইরাস এই একটা শিক্ষা আমাকে দিয়েছে যে, কাল কি হবে তা জানি না। এ জায়গা থেকে আমি বলতে পারি খুব বেশি দূরে ফোকাস আমি করতে চাই না। যদি সুযোগ আসে, সেটাকে স্বাগতম জানাবো, না আসলে সেটা নিয়েও আমার কোনো আফসোস নাই।’
২০১৮ সালের নির্বাচনে সাকিব প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চেয়েছিলেন এমন প্রশ্নে তিনি উত্তর দেন, ‘আসলে কিছু জিনিস গোপনে থাকাই ভালো। এগুলো আসলে কখনও প্রকাশ পাওয়া উচিত না। আমি যদি কখনও রাজনীতিতে আসি তখনও এটা আসবে না, না আসলে সেটাও আসবে না। আপনি যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সেটাতে আসলে কৌতুহল থাকাই স্বাভাবিক। আমি আমার জায়গায় না থাকলে আমারও কৌতুহল জাগতো। কিছু কৌতুহল থাকা উচিত, না থাকলে মানুষের আমার সম্পর্কে আগ্রহ থাকবে না।’