মুক্তি পাওয়া আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘বুকের মধ্যে আগুন’ দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে দর্শকদের মাঝে। কারো কাছে ভালো লেগেছে, কেউ কেউ অসঙ্গতি টেনে কড়া সমালোচনা করছেন!
তবে ভালো মন্দ লাগা দর্শকদের একটিই কথা, এটি নব্বই দশকের প্রয়াত সুপারস্টার সালমান শাহ্কে ঘিরেই নির্মিত!
এদিকে, নির্মাতা প্রযোজনা সংস্থা এবং শিল্পীরা বলছেন, এটি সালমান শাহ্র গল্প নয়, শ্রেফ ফিকশন! কিন্তু গল্পে দেখানো হয়েছে সালমান শাহ্র ব্যক্তি জীবন, ক্যারিয়ার ও তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটন। তাই সেখানে তৎকালীন নায়িকা শাবনূরের বিষয়টি ‘আনঅফিশিয়ালি’ উঠে এসেছে।
এতে নব্বই দশকের সুপারস্টার আরমান চরিত্রে দেখা গেছে ইয়াশ রোহানকে, যে চরিত্রটির অবয়ব দেখে দর্শক বলছেন, হুবহু সালমান শাহ্! তার সঙ্গে সমান্তরালভাবে এগিয়ে যাওয়া চরিত্র শবনম, যেটি করেছেন শাহনাজ সুমি। দর্শকদের শতভাগ কথা, এটি শাবনূরের চরিত্র!
পুরো ওয়েব সিরিজটি জুড়ে দুর্দান্তভাবে এগিয়ে গেছে শবনম ওরফে শাহনাজ সুমির চরিত্রটি। দর্শকরা বলছেন, এই চরিত্রটিতে সুমি পুরোপুরি সফল।
শাহনাজ সুমিকে নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে অন্তর্জালে। কেউ কেউ সুমিকে নতুন শাবনূর আখ্যা দিচ্ছেন! কেউ আবার শাবনূরের এক্সপ্রেশন নিখুঁতভাবে স্ক্রিনে দেওয়ায় চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে-এর প্ল্যাটফর্ম থেকে উঠে এসে ‘পাপপূণ্য’ ও ‘দামাল’ ছবি দিয়ে নজর কাড়া সুমিকে বাহবা দিচ্ছেন।
চ্যানেল আই অনলাইনকে সুমি জানান, গেল বছর মে-তে এই চরিত্রের জন্য তিনি অডিশন দিয়েছিলেন। অডিশনে টিকে যাওয়ায় পরে অক্টোবর ও নভেম্বর মাস রিহার্সেল করেছেন। বলেন, আমার করা এই চরিত্রটি নতুন ছিল বিধায় আমি শুরু থেকে খুশি ছিলাম। দুটি সময়ে দুই বয়স দেখানো হয়েছে তাই চ্যালেঞ্জও ছিল।
ইয়াং বয়সের চরিত্রটি করতে কোনো রেফারেন্স ছিল? সুমির উত্তর, হ্যাঁ ছিল তবে নির্দিষ্ট করে কারো নয়। নব্বই দশকের সব হিট নায়িকারা কেমন ছিলেন তাদের চলনবলন, এক্সপ্রেশন কথাবার্তা ফলো করার রেফারেন্স ছিল। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসজুড়ে নব্বই দশকের হিট সিনেমাগুলো দেখেছি যাতে স্ক্রিনে বাস্তবসম্মত লাগে। এইসময়ে থেকে ওই সময়ের ট্রেন্ড ধরার চেষ্টা করা অনেক কঠিন ছিল। কারণ এখন অনেককিছু চেঞ্জ।
সিরিজটি দেখে মনে হয়েছে শবনম চরিত্রটি স্ক্রিনে যেন ঠিক শাবনূর! এর প্রেক্ষিতে সুমি বলেন, উনি হিট নায়িকা। আমিও একজন হিট নায়িকার চরিত্র করেছি। তার সঙ্গে মেলাটা স্বাভাবিক। মানুষ যেহেতু তার সঙ্গে মেলাচ্ছে এতে আমি মনে করি হিট নায়িকা হিসেবে প্রেজেন্ট করার ক্ষেত্রে আমার চরিত্রটি শতভাগ সফল হয়েছে। তবে আমি দেখেছি কেউ বলছে কেজিএফ-এর নায়িকার মতো লাগছে, আবার কেউ বলেছে সুনেত্রার মতো লাগছে। আমি চেয়েছিলাম আমার চরিত্রটি বাস্তব সম্মত লাগুক। নায়িকা নায়িকা লাগছে না এটা যেন দর্শকের মাথায় না আসতে পারে এ বিষয়ে সচেতন ছিলাম।
নাচের মঞ্চ থেকে উঠে আসা সুমি নাটকে অভিনয় করতেন। ২০১৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষার পর আর নাটকে অভিনয় করেন না। তার ইচ্ছে, যে চরিত্রে তাকে মানাবে আগামীতে তিনি সেই চরিত্রটি করবেন। হোক সেটা নাচ গানে ভরপুর সিনেমা বা ওটিটির ভারী কোনো চরিত্র।
সুমি বললেন, আমি দর্শকদের ঠকাতে চাই না। অনেক বেশি ব্যস্ততায় ডুবে থাকার ইচ্ছে নেই। সামনে যদি আবার কিছু করি তাহলে হয়তো ‘বুকের মধ্যে আগুন’-এর মতো আবার ধুপ করে জ্বলে উঠবে। তখন সবাই জানতে পারবেন।