চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘চিন্তা করেছি, যখনই ডাকবে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকব’

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের গর্বিত সদস্য শাহাদাত হোসেন দীপু। যুব দলের সতীর্থদের অনেকেই বাংলাদেশ দলে জায়গা মজবুত করে ফেলেছেন। এবার পালা দীপুর। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দলে রাখা হয়েছে ডানহাতি ব্যাটারকে। সোমবার জাতীয় দলের অনুশীলনে প্রথমবার অংশ নেন এ তরুণ। ব্যাটিং শেষ করে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন নানা বিষয় নিয়ে।

জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াতে অবাক হয়েছেন কিনা?
আমি ‘এ’ টিমে খেলছিলাম। তিনটা ম্যাচ ছিল সিলেটে। এটা নিয়েই ফোকাসড ছিলাম। ‘এ’ টিমে ভালো করার পর, বাকিটা জানতাম না, বা কী হবে না হবে।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

কখন জানতে পারলেন?
এইতো গতকাল, মাগরিবের আগে।

নির্বাচকদের সঙ্গে আগে কথা হয়েছে কিনা?
ওরকমভাবে কিছু বলেনি। সিলেক্ট হওয়ার পরে বাশার স্যার (নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন) কল দিয়েছিল।

ছোটবেলায় স্ট্রাগল কতটা ছিল?
আমার বাবা যখন মারা গেছে, তখন ছোট ছিলাম। ওইরকমভাবে বুঝতে পারি নাই বিষয়টা। আস্তে আস্তে যখন বড় হচ্ছিলাম, বড় ভাই আমাকে সাহায্য করছিল এবং সুদীপ্ত ভাই ছিল, সে ক্রিকেটে অনেক হেল্প করছিল। জিনিসপত্র থেকে শুরু করে সবকিছু দিয়ে আরকি। ওইভাবেই আসলে ওইখান থেকে আস্তে ধীরে আগানো।

বিশ্বকাপজয়ী অনেকে জাতীয় দলে খেলে ফেলেছেন
ওইসব ব্যাপার নিয়ে কোনোদিন চিন্তা করি নাই। চিন্তা করেছি, যখনই আমাকে ডাকবে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকব।

লাল বল নিয়ে আলাদা প্রস্তুতি ছিল কিনা?
পরিস্থিতি যখন যেভাবে বলে ওইভাবে খেলার চেষ্টা করি।

কোন জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন?
স্কিল ভালো সেটা সবাই বলে। আর আসলে ফিল করি, মানসিকভাবে আরও শক্ত হওয়া দরকার এখানে খেলার জন্য।

ঘরোয়া আর ‘এ’ দলের পার্থক্যটা কেমন বুঝলেন?
ওদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল) বোলার একটু কঠিন থাকে অবশ্যই। ভালো অভিজ্ঞ থাকে। আন্তর্জাতিক মানের যারা ‘এ’ টিমে খেলে।

উইন্ডিজ বোলারদের আক্রমণ
খেলেছি আগে। আমাদের তাসকিন ভাই, ইবাদত ভাইরা ওই রকম পেসেই বল করে। এবার প্রিমিয়ার লিগে খেলা হয়েছে তাদের, ওইরকম কঠিন লাগেনি। জাস্ট এনজয় করেছি খেলাটাকে।

আজ ক্যাম্পে দল কীভাবে ওয়েলকাম করল?
সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছিল। এটা ভালো লাগতেছে যে, সবারই স্বপ্ন থাকে ন্যাশনাল টিমে খেলার। আমারও আছে।

‘এ’ দলের কোচ জেমি সিডন্সের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর তার সঙ্গে কথা হয়েছে?
স্কিল অনুযায়ী স্পিনে কীভাবে খেলতে হবে বা পেস বোলিং কীভাবে খেলতে হবে, কিছু কিছু জিনিস কাজ করিয়েছেন। ওইগুলা নিজের মধ্যে অ্যাডাপ্ট করার ট্রাই করেছি।

আজকে সকালে কথা হয়েছে। ও(সিডন্স) খুব খুশি। হয়তো জানত না। হঠাৎ যখন শুনেছে তখন খুব খুশি হয়েছে।

আপনার শক্তির জায়গা কোনটা?
ওইভাবে তো চিন্তা করি নাই। যেইখানে খেলি, ভালো করার চেষ্টা করব। অনুভব করি, মানসিকভাবে শক্ত থাকি।

‘এ’ দল, এইচপি টু জাতীয় দল, জার্নিটা কেমন ছিল?
এইচপিতে যোগ দেয়া হয়নি। তবে ছিলাম। বেসিক্যালি প্রিমিয়ার লিগের পর ‘এ’ দল নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।

জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার অনুভূতিটা কেমন?
খুশি লাগবে এটা স্বাভাবিক। সবারই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে খেলার। আমারও সেরকমই। ডে বাই ডে আরও যাতে উন্নতি করতে পারি, সেটাই চিন্তা করতেছি।

প্রিমিয়ার লিগে সাফল্য নিয়ে
প্রিমিয়ার লিগ শেষ দুই বছর প্রাইম ব্যাংকে খেলেছি। দুইটা বছরই ভালো খেলেছি। লাস্ট দুইটা বছর মোহাম্মদ সালাউদ্দিন স্যারের অধীনে খেলেছি। খুব ফ্রিলি খেলতে পেরেছি। আরও বেশি উন্নতি করেছি। জাতীয় দলেও স্বাধীনতা নিয়ে খেলার চেষ্টা করব।

আফগান সিরিজ নিয়ে পরিকল্পনা
ওই রকম কিছু চিন্তা করি নাই।