নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে দুই সন্তানের জনকের হাতে এক প্রতিবেশী শিশু (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনার দু’দিন পর পুলিশ অভিযুক্ত আসামী মোহাম্মদ সুমন (৩৬) কে সালিশী বৈঠক থেকে গ্রেপ্তার করে।
মোহাম্মদ সুমন উপজেলার বজরা ইউনিয়নের রশীদপুর গ্রামের জলিলের ছেলে।
জানা যায়, গতকাল সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত রোববার ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের রশীদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী পরিবার শিশু ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী অদৃশ্য কারণে মামলা না নিয়ে তাদের ফেরত পাঠায়। পরদিন সংবাদকর্মীরা বিষয়টি নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামকে অবহিত করলে পুলিশ মামলা নেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী দাবি করেন এমন অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা।
নির্যাতিত শিশুর মা অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার সকাল ৯টার দিকে আমার অসুস্থ মা ও মেয়েকে ঘরে রেখে আমি একটি বটি কিনতে বাজারে যাই। বাজারে যাওয়ার পথে ধর্ষক সুমনের সাথে আমার দেখা হয়। কোথায় যাচ্ছি জানতে চেয়ে তখন সে জোর করে আমাকে গাড়ি ভাড়া দেয়। এরপর তার ঘরে গিয়ে তার স্ত্রীকে জোর করে বাজারে মাছ কিনতে পাঠায়। এরপর আমার ঘরে ঢুকে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে মঙ্গলবার সকালে আমাদের ঘরে সালিশী বৈঠক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সালিশী বৈঠক থেকে ধর্ষক গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বিষয়টিকে নাকচ করে বলেন, আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে।
ওসি আরও জানান, ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।