চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সেনেগালের ৮৩ মিনিটের গেরো ফসকে নেদারল্যান্ডসের ২ গোল

লড়াই হচ্ছিল খুব, কেবল গোল হচ্ছিল না। সেনেগালের রক্ষণদুর্গ ভাঙতে পারছিল না নেদারল্যান্ডস। গ্যাকপো-ভিনসেন্টদের আক্রমণ দুর্দান্ত দক্ষতায় রুখে দিচ্ছিলেন মেন্ডি-কালিদুরা। প্রতি-আক্রমণে ডাচ দুর্গেও কাঁপন ধরিয়েছে সেনেগালিজ বাহিনী। কিন্তু শেষের হাসিটা হেসেছে লুইস ফন গালের ডাচম্যানরাই।

সোমবার আল সুমামা স্টেডিয়ামে গ্রুপ এ-এর ম্যাচে সেনেগালের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে নেদারল্যান্ডস। ৮৩ মিনিট পর্যন্ত অক্ষত ছিল দুদলের জাল। ৮৪ মিনিটে কোডি গ্যাকপোর হেডে ডেডলক ভাঙলে যোগ করা সময়ে ডাচদের ব্যবধান দ্বিগুণ করে দেন ডেভি ক্ল্যাসেন।

চোটে ছিটকে যাওয়া সাদিও মানের অভাব খুব করে বুঝেছে সেনেগাল। ডিফেন্স সামলে আক্রমণে উঠে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি আফ্রিকার চ্যাম্পিয়ন দলটি। ৪৬ শতাংশ বল দখলে রেখে এগারোটি শট নিয়েছে তারা, চারটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে একগাদা আক্রমণ চালানো ডাচরা সাতটির তিনটি রাখে গোলমুখে, শেষ পনেরো মিনিটে দুবার জালের দেখা পেয়ে যায়।

অনুমিত ছিল হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে লড়াই। মাঠেও দেখা গেল সেটার দাপট। তবে আক্রমণের পসরা সাজিয়েও সেনেগালের রক্ষণ ভেদ করতে পারছিল না খানিক এগিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডস। প্রথমার্ধ গোলশূন্যই থাকে।

খেলা শুরুর চার মিনিটে প্রথম সুযোগ আনেন গ্যাকপো। মেন্ডি সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ান। নবম মিনিটে সারের শট বারের উপর দিয়ে যায়। ২৯ মিনিটে আবারও সুযোগ আনে ডাচরা। এবার ডি ইয়ংকে হতাশ করেন গুইয়ে। দশ মিনিট পর সেনেগালকে আবারও বাঁচিয়ে দেন মেন্ডি।

দ্বিতীয়ার্ধে দুদলই বাড়ায় খেলার গতি। টুকটাক পাসে দ্রুত আক্রমণে ওঠে নেদারল্যান্ডস। কড়া জবাবে সব আক্রমণ ভেস্তে দেয় সেনেগাল ডিফেন্স। ৮৪ মিনিটে এসে জালমুখ খোলেন গ্যাকপো।

ডি ইয়ংয়ের বাড়ানো বলে মাথা ছুঁইয়ে দেন কোডি গ্যাকপো। মেন্ডি এবার পারেননি দেয়াল হতে। ডানপাশে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে তাকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়ায় জালে। নির্ধারিত সময়ের বাকিটা পায়ের ফুটবল ছাপিয়ে যায় মৃদু হাতাহাতিতেও। দশ মিনিটের ব্যবধানে দুটি হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।

সেনেগাল ৩৬০টি সফল পাস দেয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়া ম্যাচ পুরোপুরি ছিনিয়ে নেয়ার কাজটা সারেন ক্ল্যাসেন। কাউন্টার অ্যাটাকে সরাসরি বল নিয়ে ছুটে গোল আনেন। দুই গোলদাতাই এদিন মিডফিল্ডার। পূর্ণ ৩ পয়েন্ট তুলে মাঠ ছাড়ে ফন গালের শিষ্যরা।