রানা আহম্মেদ অভি:
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আত্মগঠন ও শৃঙ্খলাবোধ প্রতিষ্ঠায় রামাদানের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ৫ এপ্রিল ১৩ তম রামাদানে সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের ৪০৩ নং কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি আল হাদিস ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন অধ্যাপক ড. মো. শরিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান। এছাড়া বিভাগের অধ্যাপক ড. আ. খ. ম. ওয়ালী উল্লাহ, অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, অধ্যাপক ড.আ. ন. ম. ইকবাল হোসাইন, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসানসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে মানুষ তার পাশবিক প্রবৃদ্ধি সংযত ও আত্মিক শক্তিকে জাগ্রত ও বিকশিত করার সুযোগ লাভ করে। তাই রমজান আত্মগঠন ও শৃঙ্খলাবোধ প্রতিষ্ঠা করে সকল সকল অন্যায় অস্থিরতা দূর করে ন্যায় ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে সকল মুসলিমকে। তাহলে পার্থিব ও আখিরাতের সফলতা অর্জন করা যাবে।
সেমিনারে বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান বলেন, রমজানের রোজার মাধ্যমে একটি মানুষকে সরাসরি মুমিন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এ মাসটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এসময়ের শিষ্টাচার অনুশীলনের মাধ্যমে তার অন্য ইবাদতগুলোও আরও সুন্দর করা যায়। সৃষ্টিকর্তা যদি তার সৃষ্টিকে কোন উপহার দিতে চাই তাহলে তা কেমন হবে সেটা আসলে অনুমান করার মতো না। তবে মুমিনের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার জান্নাত লাভ ও আল্লাহর সাক্ষাৎ।
তিনি আরও বলেন, সারা পৃথিবীর মানুষ এক সঙ্গে একই নিয়মে রমজানের ইবাদত করে। তাই বলা যায় রমজানুল কারিমের চেয়ে আর উত্তম ইবাদতের বিষয় আমাদের সামনে আসে না। এরকম শৃঙ্খলা এরকম শিষ্টাচার আর কোথাও হতে পারেনা। এছাড়া পবিত্র রজমানের বিশেষ দিকগুলো আলোচনা করেন তিনি।