চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

খালিফা: কাতারের ফুটবল ঐতিহ্যের ধারক

উঠছে ফুটবল মহাযজ্ঞের পর্দা। ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর, মাসব্যাপী ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনে কোথাও ঘাটতি রাখছে না স্বাগতিক কাতার। সোনালি ট্রফি সামনে রেখে আটটি ভেন্যুতে লড়বে ৩২ দল। বৈশ্বিক আসরটিতে সমর্থন, দল, প্রিয় খেলোয়াড়কে সাহস জোগাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ভ্রমণ করছে লাখো ফুটবলপ্রেমী।

কোথায় কোথায় হবে হাসি-কান্না, রোমাঞ্চ-উন্মাদনার মঞ্চায়ন, কোথায় উচ্ছ্বাস সবুজ গালিচা পেরিয়ে আছড়ে পড়বে গ্যালারিতে। সেসবের পরিচিতিতে এপর্বে থাকছে বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু কাতারের রাজধানী দোহার ‘খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম’র কথা।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

১৯৭৬ সাল। গলফ কাপের আয়োজক হতে চলেছে কাতার। কিন্তু আন্তর্জাতিকমানের স্টেডিয়াম তখনও গড়া হয়নি। তেল নির্ভর দেশটি ওই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে বানিয়ে ফেলে ২০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। দেশটির ফুটবল ঐতিহ্যের ধারকে রূপ নেয়া মাঠটি সময়ের সাথে বহুবার সংস্কার করা হয়েছে। বহু ম্যাচের সাক্ষী ভেন্যুটিতে এবার বসবে ফিফা বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ।

পশ্চিম দোহা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে দেশটির অন্যতম পুরনো ভেন্যু এটি। আসরের সাতটি ম্যাচ আয়োজনের গৌরব অর্জন করবে খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। থাকবে গ্রুপপর্বের পাঁচটি, রাউন্ড অব সিক্সটিনের একটি এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ।

১৯৭৬ সালে যাত্রা করা ভেন্যুটিতে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলও। প্রায় সময়ই দেশটির প্রধান ভেন্যু হিসেবে কাজ করে মাঠটি। ২০১৪ সালে নতুন করে সংস্কার শুরু হয়। বিশ্বকাপ সামনে রেখে ঢেলে সাজানো স্টেডিয়ামটিতে যুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রায় সব সুবিধা। ২০১৭ সালে বাকি ভেন্যুগুলোর আগেই নির্মাণ কাজ শেষ হয় খালিফার।

স্টেডিয়ামটির ঐতিহ্য অনেক। ২০০৬ সালে এশিয়ান কাপ সামনে রেখে দর্শক ধারণ ক্ষমতা ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার করা হয়। ফিফা ফ্রেন্ডলি ছাড়াও ২০১১ এশিয়ান কাপ, ২০১৯ সালে অ্যাথলেটিকসের আইএএএফ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপও বসেছে। বর্তমানে স্টেডিয়ামটির ৭০ শতাংশ সুন্দর ছাদ দ্বারা ঢেকে দেয়া হয়েছে।