উঠছে ফুটবল মহাযজ্ঞের পর্দা। ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর, মাসব্যাপী ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনে কোথাও ঘাটতি রাখছে না স্বাগতিক কাতার। সোনালি ট্রফি সামনে রেখে আটটি ভেন্যুতে লড়বে ৩২ দল। বৈশ্বিক আসরটিতে সমর্থন, দল, প্রিয় খেলোয়াড়কে সাহস জোগাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ভ্রমণ করছে লাখো ফুটবলপ্রেমী।
কোথায় কোথায় হবে হাসি-কান্না, রোমাঞ্চ-উন্মাদনার মঞ্চায়ন, কোথায় উচ্ছ্বাস সবুজ গালিচা পেরিয়ে আছড়ে পড়বে গ্যালারিতে। সেসবের পরিচিতিতে এপর্বে থাকছে ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু রাজধানী দোহার ‘এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম’র কথা।
আল রাইয়ানের মরুভূমির মাঝে সগর্বে মাথা উঁচিয়ে যে স্টেডিয়াম, সেটির কয়েকটি নাম রয়েছে— এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম, কাতার ফাউন্ডেশন স্টেডিয়াম, ডায়মন্ড ইন ডেজার্ট। নির্মাণশৈলী ও নকশার খাতিরে এটিকে ডায়মন্ড ইন ডেজার্ট অর্থাৎ, মরুভূমির হীরা নামে বেশি ডাকা হয়। সূর্যের আলো স্টেডিয়ামটিতে পড়লে চকচক করে ওঠে পুরো রাইয়ান। নৈসর্গিক রূপ প্রতিফলিত হয় শহরজুড়ে।
৪০ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামটি এডুকেশন সিটির বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে অবস্থিত। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বানানো মাঠটি ২০২০ সালে প্রথম ব্যবহার করা হয়। এখানে হবে আসরের ছয়টি গ্রুপপর্বের, একটি শেষ ষোলোর ও একটি কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ। ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এখানে লড়বেন রোনালদো-লেভান্ডোভস্কি-এমবাপে-নুনেজরা।

এডুকেশন সিটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ও সুযোগ-সুবিধা। স্টেডিয়ামটির সন্নিকটে আছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, পার্ক, মিউজিয়াম ও সুবিশাল অফিস বিল্ডিং। সেন্ট্রাল দোহার ১৪ কিলোমিটার দূরের ভেন্যুটির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও আনা হয়েছে আমূল পরিবর্তন। রয়েছে অত্যাধুনিক আবাসনের ব্যবস্থা।
ফুটবল মহাযজ্ঞ শেষে স্টেডিয়ামটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উন্মুক্ত থাকবে স্টুডেন্ট অ্যাথলেটদের জন্যও। ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার থেকে কমিয়ে তখন ২০ হাজারে নিয়ে আসা হবে।