ক্রিসমাসের আগে আমেরিকার সবচেয়ে বড় উৎসব হ্যালোইন। পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যে মৃত আত্মাদের স্মরণে পালিত হয় এ দিবস। এই দিনে নানারকম ভৌতিক সাজে সেজে উঠে মানুষ। চকলেট এবং মিষ্টি খাবার বিলি করা হয়। মানুষ বেড়াতে যায় ভূতের বাড়িতে। এই দিবস উপলক্ষে মুক্তি দেয়া হয় ভৌতিক সিনেমাও। অনেকেই আবার বাড়িতে বসে ভূতের সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন। এক নজরে দেখে নিন হ্যালোইনে দেখার মতো কালজয়ী ছয়টি ভৌতিক ছবির তালিকা।
দ্য শাইনিং (১৯৮০): স্টানলে কুব্রিক পরিচালিত এই ছবিটি সাইকোলজিক্যাল হরর ছবি। ছবির গল্প জ্যাক টরেন্স‚ তার স্ত্রী ওয়েন্ডি এবং পুত্র ড্যানি কে ঘিরে। দ্যা ওভারলুক হোটেলে কেয়ারটেকারের চাকরি পেয়ে হোটেলে থাকতে এসে পুরো পরিবার কিছু অস্বাভাবিক ঘটনার মুখোমুখি হতে থাকে।
দ্য এক্সরসিস্ট (১৯৭৩–২০০৫): উইলিয়াম ফ্রায়েডকিন পরিচালিত এই ছবির গল্প জর্জটাউনের অদ্ভুত কিছু ঘটনা নিয়ে। ঘটনাগুলো ঘটার ফলে ১২ বছরের রেগান ম্যাকনেলের ব্যক্তিত্ব ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ পাল্টে যায়।
দ্য থিং (১৯৮২): জন কার্পেন্টার পরিচালিত এই ছবিতে দেখানো হয়েছে আন্টার্টিকায় কিছু বিজ্ঞানী অন্য গ্রহের প্রাণীর সামনে পড়ে। রূপ বদলাতে সক্ষম এই এলিয়েনগুলো সবাইকে মারতে থাকে। শেষ অবধি কেউ বেঁচে ফিরবে কিনা এই ভয় তাড়া করে বেড়ায় পুরো ছবিতে।
হ্যালোইন (১৯৭৮): জন কার্পেন্টার পরিচালিত এই ছবির গল্প একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত খুনি ঘিরে যে ছোটবেলায় নিজের ছোট বোনকে খুন করে। পরে সে পালিয়ে যায়। এরপর একজন কিশোরী এবং তার বন্ধুদের ফলো করে তাদের মেরে ফেলার জন্য।
দ্য টেক্সাস চেইন স মাসাক্রে (১৯৭৪): টোব নুপার পরিচালিত এই ছবির গল্প পাঁচ বন্ধুকে ঘিরে। গ্রামে দাদুর বাড়িতে ছুটি কাটাতে গিয়ে তারা একজন খুনির পাল্লায় পড়ে। এই খুনি এবং তার পরিবার আবার নরখাদক।
ওয়ার্ল্ড ওয়ার জি (২০১৩): ব্র্যাড পিট প্রযোজিত ও অভিনীত জোম্বি অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জি’। গতানুগতিক জোম্বি সিনেমা থেকে কিছুটা আলাদা। বিশ্বব্যাপী ছবিটি আয় করেছে ৫৪০ মিলিয়ন ডলার।