অবৈধ ভিসা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকাস্থ সৌদি আরব দূতাবাসের দুই কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সৌদি গণমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন সৌদি নাগরিক হলেন, দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের প্রধান আবদুল্লাহ ফালাহ মুদি আল-শামারি এবং তার ডেপুটি খালেদ নাসের আয়েদ আল-কাহতানি।
সৌদিদুর্নীতি দমন সংস্থা নাজাহার তথ্য মতে, গ্রেপ্তারকৃত এই দুই কর্মকর্তার বাড়িতে অবৈধ অর্থ, স্বর্ণ ও বিলাসবহুল গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। দায়িত্ব পালনকালে তারা অবৈধ ভিসা বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
দূতাবাসের দুই কর্মকর্তা ছাড়াও এই দুর্নীতির পরিকল্পনায় সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা, ৮ জন বাংলাদেশি এবং একজন ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারী জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
অবৈধ ভিসা দুর্নীতি কর্মকাণ্ডে নেয়া ঘুষের মোট পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল বা ১৫৪ কোটি টাকা।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মচারীকে একজন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে ৬০,০০০ সৌদি রিয়েলের বিনিময়ে একজন বিদেশী বিনিয়োগকারীকে ৬.১ মিলিয়ন ডলার আর্থিক প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সৌদি আরবের বাইরের নাগরিকদের মধ্যে ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারী সালেহ মোহাম্মদ সালেহ আল শালাউটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীকালে আরো তদন্তের পর গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশে বসবাসকারী নাগরিকদের মধ্যে আছেন আশরাফ উদ্দিন আকনাদ, আলমগীর হোসেন খান, শফিক আলিসলাম শাহ জাহান। যারা একটি সংঘবদ্ধ দল হিসেবে কাজ করছিল।
এছাড়াও অবৈধ ভিসা বাণিজ্য ও সৌদি আরবের বাইরে অর্থপাচারের দায়ে ঢাকার একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক মোহাম্মদ নাসের উদ্দিন নূর, জায়েদ উওসিদ মাফি, আবুল কালাম মোহাম্মদ রফিক আল ইসলাম, আজিজ আলহাক মুসলিম উদ্দিন, আলামিন খান এবং শহীদ আল্লাহ খানকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরবের দুর্নীতি দমন সংস্থা নাজাহা আরও জানিয়েছে, যে বা যারা ব্যক্তিগত লাভ বা জনস্বার্থের ক্ষতি করার জন্য সরকারী পদের অপব্যবহার করবে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।