চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পেশাদার মডেল হওয়ার স্বপ্ন ছিল সরস্বতীর

১৫ মে থেকে ২৯ মে, বিগত ১৫ দিনে কলকাতায় একে একে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে চার জন তরুণ মডেল ও অভিনেত্রীর। প্রথমে জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে, তারপর ২৫ ও ২৭ মে যথাক্রমে বিদিশা দে ও মঞ্জুসা নিয়োগীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর এবার রহস্যজনক মৃত্যু হলো মডেল-অভিনেত্রী সরস্বতী দাসের (১৯)।

এমন খবরই পশ্চিমবাংলার সংবাদ মাধ্যমে। সরস্বতী দাসের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এই সময়.কম বলছে, শনিবার রাতে কসবা এলাকায় নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সরস্বতী দাস নামের ওই মডেলের ঝুলন্ত মরদেহ। তার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। কীভাবে এবং কেন ওই ঘটনাটি ঘটল খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পায়নি পুলিশ। তাই কী ঘটেছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়। কসবায় সরস্বতীর মামাবাড়ি ছিল বলে খবর। জানা গেছে, সেখানেই তিনি থাকতেন। শনিবার রাতে বাড়িতে দিদিমার সঙ্গে তিনি একা ছিলেন। রবিবার তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন থানায় খবর দেন।

এই সময়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯ বছরের এই উঠতি মডেলের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। পরিবারের দাবি, সেই কারণেই অবসাদে ভুগছিলেন সরস্বতী। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ি, পুলিশ এই মুহূর্তে সরস্বতীর ফোনের প্যাটার্ন ব্রেক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ফোন খোলা গেলে তদন্তে অনেকটাই সাহায্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

মডেল হিসেবে সদ্য কাজ করতে আরম্ভ করেছিলেন সরস্বতী। পেশাদার মডেল হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। সেই কারণেই নানা ফটোশুট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করতেন তিনি।

গত ১৫ মে  ফ্ল্যাট থেকে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবীর মরদেহ উদ্ধার হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর ২৫ মে উদ্ধার হয় বিদিশা দের ঝুলন্ত দেহ। গত শুক্রবার চাঞ্চল্য আরও বেড়ে যায়। কারণ, নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিদিশা এবং পল্লবীর ভালো বন্ধু মঞ্জুসার মরদেহ। সব ক’টি মৃত্যুকেই প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলে সন্দেহ করেছে পুলিশ।