ঘরোয়া ফুটবলের চমক জাগানিয়া দল বসুন্ধরা কিংস। ২০১৮ সালে অভিষেক হওয়ার পর একের পর এক শিরোপা জিতে চলছে দলটি। সোমবার মুন্সিগন্জে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে.মতিউর স্টেডিয়ামে সাইফ স্পোর্টিংকে ২-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্লাব ফুটবলে অনন্য এক রেকর্ড গড়ল বসুন্ধরা কিংস। অভিষেকের পর টানা শিরোপা জয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করল দলটি।
অঘোষিত ফাইনালের কঠিন লড়াইয়ে ম্যাচের শুরু থেকেই গরম ছিল ডাগ আউট। দু’দলের ফুটবলারদের শরীরী ভাষাও ছিল আক্রমণাত্মক। যার সুবাদে ৩৭ মিনিটে বসুন্ধরা ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাতকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়। তবে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার আগেই ১-০তে- এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। বাকি সময় রক্ষণদুর্গে বাড়তি পাহারা বসালে সুবিধা করতে পারেনি সাইফ। উল্টো ম্যাচের ৮১ মিনিটে বিপলু শট খোজে নেয় সাইফের জাল। ২-০-তে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। বাকি সময় চেষ্টা চালিয়েও ব্যবধান কমাতে পারেনি সাইফ।
এর আগে ম্যাচের ২২ মিনিটে এগিয়ে যেতে পার বসুন্ধরা কিংস। বিশ্বনাথের বাড়িয়ে দেওয়া লং বল তৌহিদুল আলম বাড়িয়ে দেন মিগুয়েল ফেরেইরার দিকে। জোড়াল শট গিয়ে বাধা পায় ক্রসবারে হতাশ হতে হয় বসুন্ধরাকে। তবে ম্যাচে জয় পাওয়ায় সেই আক্ষেপ থাকছে না আর।
দারুণ জয়ে ২০ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা। ১৯ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আবাহনী। ২০ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সাইফ। চ্যাম্পিয়ন হয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়া হয়েছে বসুন্ধরার।
ঘরোয়া ফুটবলে ১৯৮৩-৮৫ হ্যাটট্রিক জয়ের স্বাদ পেয়েছিল আবাহনী। এরপর ১৯৮৬-৮৮-তে হ্যাটট্রিক জয় দেখেছিল সে সময়ের মোহামেডান সমর্থকরা। এরপর ২০০৭ সালে পেশাদার লিগ শুরুর পরও আবাহনী সমর্থকরা পেয়েছে হ্যাটট্রিক শিরোপার স্বাদ। তবে অভিষেক হওয়ার পর এমন বাজিমাত করেনি আর কেউ। ২০১০ সালে অভিষেক হওয়ার পর শেখ জামাল টানা দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি উঁচিয়ে ধরলেও হ্যাটট্রিকের স্বাদ পায়নি। এবার সেই হ্যাটট্রিকের স্বাদ নিল বসুন্ধরা।