চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

যে সিনেমায় সাহস আছে, অন্যায়ের প্রতিবাদ আছে

১৬ জুন চরকিতে স্ট্রিমিং হবে ‘সাহস’

২০২০ সালে শুটিং সম্পন্ন হয় মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবি ‘সাহস’ এর। এরপর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষে জমা দেয়া হয়েছিলো সেন্সর বোর্ডে। কিন্তু সেখান থেকেই প্রথমে আসে আপত্তি। জানানো হয়, অশ্লীলতা ও অত্যাধিক সহিংসতা থাকায় প্রদর্শনের অযোগ্য ‘সাহস’।

‘সাহস’ নিয়ে এমন আপত্তি উঠায় কিছুটা ভড়কে গিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষত এই সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখা তরুণ পরিচালক সাজ্জাদ খান নিজের হতাশার কথা জানিয়েছিলেন গণমাধ্যমে। যদিও পরবর্তীতে সিনেমাটির কিছু দৃশ্য ও সংলাপ সংশোধন করে পুনরায় জমা দেয়া হয়েছিলো সেন্সর বোর্ডে। গেল বছরেই পেয়েছিলো ছাড়পত্র।

এবার সিনেমাটি মুক্তির পালা। শুরুতে বড় পর্দায় মুক্তি টার্গেট থাকলেও ‘সাহস’ মুক্তি পাচ্ছে দেশীয় ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে। আসছে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) চরকিতে স্ট্রিমিং হবে এটি। চলছে প্রচার প্রচারণা। চরকি সিনেমাটিকে বলছে ‘শতভাগ লোকাল মুভি’!

এ বিষয়ে ‘সাহস’ এর অন্যতম অভিনেতা মোস্তাফিজুর নূর ইমরান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, সাহসের গল্পটা বাগেরহাটের। শুধু গল্প না, এই সিনেমার ভাষা, শুটিং, লোকেশন এমনকি বেশির ভাগ অভিনয় শিল্পীও বাগেরহাটের। এ কারণেই এটাকে আমরা বলছি ‘শতভাগ লোকাল মুভি’।

‘কম্প্রোমাইজ’ করে সেন্সর ছাড়পত্র নেয়ার পরও কেন সিনেমা হলে না দিয়ে ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে ‘সাহস’? এমন প্রশ্নে মোস্তাফিজুর বলেন, যে কোনো আর্ট ফর্মেরই একটা স্বকীয়তা থাকে। আমরা অনেক কষ্ট করে ‘সাহস’ সিনেমাটা করেছি দর্শককে দেখাতে। কাটছাঁট করে দেখাতে চাইনি, তাই সেন্সর পাওয়ার পর ফাইনালি এসে আমাদের মনে হয়েছে- আমরা ওটিটিতে দেখাতে পারলে দর্শক মূল জিনিসটাই দেখতে পারবে! এ পর্যায়ে চরকিকে সিনেমাটি দেখালে তারা পছন্দ করে।

কম্প্রোমাইজ করে সেন্সর নিয়েও সিনেমা হলে মুক্তি না দিয়ে ওটিটিতে মুক্তি দেয়ার বিষয়টি মোস্তাফিজুর নিজের জায়গা থেকে প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন।

এরআগে ‘সাহস’ নিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন,‘দেশে এমন জনরার ছবি এরআগে হয়নি। শেষ পর্যন্ত একটা যুদ্ধের গল্পই বলা হয়েছে ‘সাহস’-এ, এবং সেটা এই সময়ের পারস্পেকটিভে। যে সিনেমায় সাহস আছে, অন্যায়ের প্রতিবাদ আছে। নেটফ্লিক্সের কোয়ালিটি মাথায় রেখে আমরা ‘সাহস’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছি।

সিনেমায় মোস্তাফিজুরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নাজিয়া হক অর্ষা। তাকে নিয়ে নূর বলেন, এই সিনেমার গল্পে অর্ষা সেন্ট্রাল লিড। আমার কাছে ইন্টারনেশনাল লেভেলের পারফর্মার সে। এতো দুর্দান্ত লেভেলের এক্টিং, দর্শক দেখলে বুঝতে পারবেন। আরেকজন আছেন আমাদের বাগেরহাটের কুন্তল বিশ্বাস, ও দারুণ অভিনয় করেছে এই সিনেমায়। ও আমার আবিস্কার। বলিউডের ‘মারদানি-২’ তে নতুন ছেলেটা যেরমক হাইপ তুলছিলো, এই ছবি রিলিজ হলে ও এরকম হাইপ তুলতে পারে। ছবিতে খায়রুল বাসার, মাহবুব তূর্যসহ বাকিরাও খুব দারুণ অভিনয় করেছেন।

একই সঙ্গে মোস্তাফিজুর নূর বাগেরহাটের টিম আর ঢাকার টিমের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘সাহস’ এর গল্পকার অনুপম দাস ও চিত্রনাট্যকার হাসানাত বিন মাতিন সহ এই সিনেমার চিত্রগ্রাহক নাজেরী সাগরের প্রতি কৃতজ্ঞতা। একইভাবে ‘সাহস’ এর এডিট আর কালার করেছেন মুস্তাফা প্রকাশ, তার প্রতিও আমরা কৃতজ্ঞ। সবার আন্তরিকতা না থাকলে এমন দারুণ একটি কাজ সম্ভব হতো না।