ছেলেদের প্রায় ১৮ বছর পর বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল এনেছে সাউথ এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। সমাজের প্রতিবন্ধকতা-টিপ্পনী এড়িয়ে, কঠোর অনুশীলন আর কড়া নিয়মের মাঝ দিয়ে যাওয়া সাবিনা-শিউলিদের জন্য সাফল্যের বন্ধুর পথ মোটেও সহজ ছিল না। ৩০ লাখ শহীদের প্রেরণা, মনে জেদ, আর কিছু করতে চাওয়ার স্পৃহাই এনে দিয়েছে বড় সাফল্য। ডিফেন্ডার শিউলি আজিম শোনালেন সেকথা।
বুধবার চ্যানেল আইয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা খুলে দিয়েছেন মনের দুয়ার। জানিয়েছেন শিরোপা জয়ের পেছনের গল্প। মুক্তির সংগ্রামে নামা সেই দামালদের অনুপ্রেরণা নিয়ে ছুটেছেন লাল-সবুজের তারকারা! স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
শিউলি আজিম স্মৃতিচারণ করেছেন কাঠমান্ডুতে কাটানো সেই সময়গুলোর। তারকা ডিফেন্ডারের ভাষ্যে, ‘‘আমরা ফাইনালে ওঠার পর লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর লক্ষ্য ছিল ট্রফি। হাতে ছিল দুই দিন। এতো কম সময়ে আসলে রিকভারি হয় না। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। স্যার সবসময় মোটিভেশন দিতেন, ‘দেশের জন্য খেলো, ৩০ লাখ শহীদের জন্য খেলো।’ —এই অনুপ্রেরণা মনে গেঁথে গিয়েছিল। হয়ত তাই আমাদের এই সাফল্য।”
বুধবার দুপুর ১২টার কিছু আগে শিরোপাজয়ী ফুটবল দল জড়ো হয় চ্যানেল আই ভবনে। বাফুফের বাস থেকে শুরুতে ট্রফি হাতে নামেন মারিয়া মান্ডা। পরে একে একে বাকি ফুটবলারদের সঙ্গে নেমে আসেন জয়ী কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন। ফুলের চাদর পেরিয়ে, সংবর্ধনা, কেক কাটা-সহ হরেক আয়োজন শেষে জমে আড্ডার আসর।