যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, ইউক্রেনে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে রাশিয়া।
জার্মানির মিউনিখে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনের বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। সেসময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
হ্যারিস বলেন, ‘পুতিন যদি মনে করেন যে, সে ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয়ী হবে তবে এটি তার ভুল ধারণা। ইউক্রেনের বেসামরিক জনগণের ওপর ‘বিস্তৃত ও পদ্ধতিগত’ হামলা করছেন রাশিয়ার সেনারা। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রমাণগুলো পরীক্ষা করেছি, আমরা আইনি মানগুলো জানি। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ। এসব অপরাধ যারা করছে ও তাদের ঊর্ধ্বতনদের যারা এই অপরাধে জড়িত, তাদের জবাবদিহি করতে হবে।’
রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করছেন বলে গত মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে বাইডেন প্রশাসন বলেছে, অপরাধীদের বিচার করতে তারা অন্যদের সঙ্গে কাজ করবে। কমলা হ্যারিস ইউক্রেনে রাশিয়ার বাহিনী পরিচালিত অপরাধগুলোর একটি তালিকা করেছেন। এ তালিকায় আছে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, নির্বাসন, মৃত্যুদণ্ড, মারধর ও বৈদ্যুতিক আঘাত দেওয়া।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে রাশিয়ার এমন হামলাকে ‘বর্বর ও অমানবিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ মার্চ মারিউপোলের প্রসূতি হাসপাতালে বোমা হামলা করেছিল রাশিয়া। সেখানে শিশুসহ তিনজন নিহত হয়। এ ছাড়া একজন রাশিয়ান সৈন্য চার বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়ন করছেন বলেও প্রমাণ রয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, কিয়েভে কোনো প্রকার মানবতা লঙ্ঘন করেনি মস্কো।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। ইউক্রেন প্রকাশিত তথ্য বলছে, ওই অভিযান শুরুর প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে গত জানুয়ারি পর্যন্ত দিনে যে–সংখ্যক রুশ সেনা মারা গেছেন, তার তুলনায় চলতি মাসে অনেক বেশি সেনা মারা যাচ্ছেন। এ মাসে প্রতিদিন ৮২৪ জন করে রুশ সেনা নিহত হচ্ছেন। প্রায় এক বছর ধরে চলা যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতি চরম সংকটের মুখে পড়েছে।